প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা রূপান্তরিত হচ্ছে এক দফায়

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা রূপান্তরিত হচ্ছে এক দফায়

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফার আন্দোলন সম্মিলিতভাবে কার্যত এক দফায় রূপান্তর হতে যাচ্ছে। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তার একক দাবির কথাই এখন বলছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। এক্ষেত্রে সংবিধানের সংশোধন ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের বিষয়েও বেশ নমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছেন তারা।

অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষে বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের বহুল প্রত্যাশিত সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। ড. কামাল হোসেন এ সংলাপ নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করলেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তবে এখন ধীরে ধীরে দাবির ব্যাপারে নমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৭ দফার অন্য দাবিগুলো আদায়ে অনড় অবস্থান থেকে সরে আসার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছেন তারা। নির্বাচনকালীন সরকারের ক্ষমতা ও কাজ সীমাবদ্ধ হলে প্রভাবমুক্ত নির্বাচন হতে পারে বলে মনে করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সরকার আছে কিন্তু সরকারের ফাংশন করছে না। পৃথিবীর বিভিন্ন সরকারের ধরন এরকম। যারা ক্যাবল রুটের ফাংশন করবে তার বাইরে কিছু করতে পারবে না সেইভাবে ঠিক থাকে। তাদের সরকার থাকে কিন্তু সরকারের হাত-পা ভেঙে দেয়ার ক্ষমতা থাকে না। সংবিধানের মধ্যে থেকেও আমরা যা চাচ্ছি তা আদায় করা যাবে।’

৭ দফা একত্রিত হয়ে শুধু অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে এক দফায় রূপান্তরের আভাস দিলেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘৭ দফাটা যদি আমরা একসঙ্গে এনে একদফার ভিত্তিতে যদি আমি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের নিশ্চয়তা উপলব্ধি করতে পারি সেখানে তো আমি নির্বাচন করতে পারবো। সরকারের সদিচ্ছা থাকতে হবে। তাহলে সেই পথটা বের হয়ে আসবে।’

সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দিতে পারলে বর্তমান সরকারে অনাপত্তির কথা আবারো জানালেন ড. কামাল হোসেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন,‘সরকারে যারাই দায়িত্ব গ্রহণ করেন, শপথ নেন যে আমরা সংবিধান মেনে এবং সংবিধান অনুযায়ী আমাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করবো, তাহলে আমাদের ধরেই নিতে হবে যারা শপথ নেয় তারা শপথ ভঙ্গ করবেন না। সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে অবশ্যই করা যায়। আমরা তো সেটাই চাচ্ছি।’

তবে এ ব্যাপারে সরকারের সদিচ্ছা ও উদ্যোগ না থাকলে আন্দোলনের পথেই হাঁটতে চায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।