প্রচ্ছদ অন্যরকম গরুর ভুঁড়ি খাবেন নাকি খাবেন না?

গরুর ভুঁড়ি খাবেন নাকি খাবেন না?

স্যামসন সুপ্রিয় জামান –

ভুড়ি হচ্ছে বিভিন্ন প্রানীদেহের পেটের ভেতর থাকা এক বিশেষ ধরনের আস্তরন।যা খাওয়া যায়।

আমাদের দেশে গরুর ভুঁড়ি বেশ জনপ্রিয়। স্ট্রিট ফুড হিসেবেও পাওয়া যায়।গরুর পেটের ভেতরের মিউকোসাল আস্তরন সরিয়ে দেওয়ার পর প্রথম যে তিনটি স্তর আছে সেটাই মূলত গরুর ভুঁড়ি বোঝায়। এগুলো যথাক্রমে রুমেন,রেটিকুলাম,ওমসাম।

তবে ভুঁড়ি খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালো করে সিদ্ধ করে নিতে হবে। কারণ গরুর ভুঁড়ি তে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে।

গরুর ভুঁড়িতে আয়রন,ক্যালসিয়াম,জিংক,ম্যাগনেসিয়াম,ম্যাঙ্গানিজ,ফসফরাস সোডিয়াম বিভিন্ন ধরনের খনিজ পুষ্টি উপাদান বিদ্যামান যা মানব শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

তবে গরুর ভুঁড়িতে ক্ষতিকর দু’ধরনের ফ্যাট রয়েছে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্স ফ্যাট।

জেনে রাখা ভালো প্রতি ১০০ গ্রাম ভুঁড়িতে আছে ৩.৬৯ গ্রাম ফ্যাট,১২.০৭ গ্রাম প্রোটিন ও ১৫৭ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল। একজন সুস্থ মানুষ দিনে ৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল খেতে পারেন।তাই ১০০ গ্রাম ভুঁড়ি খাওয়া সুস্থ মানুষের জন্য ঝুকিপূর্ণ নয় নিরাপদ।
তবে একজন হার্টের রোগী দিনে ২০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল খেতে পারেন। ১০০ গ্রাম ভুঁড়ি খেলে তা কোলেস্টেরল গ্রহনের নিরাপদ মাত্রার ৭৯% চলে আসে।

খাওয়া ভালো,তবে অতিরিক্ত কিছু ভালো নয়। তাই ভুঁড়ি পরিমিত খেতে হবে।