প্রচ্ছদ খেলাধুলা খেলা এবং নির্বাচন একসাথে করতে পারবেন মাশরাফি?

খেলা এবং নির্বাচন একসাথে করতে পারবেন মাশরাফি?

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়তে চান জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এ লক্ষ্যে গত রোববার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে নিজ জেলা নড়াইল-২ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তিনি।

খেলার ক্যারিয়ারের মধ্যেই হঠাৎ রাজনীতিকে কেন বেছে নিলেন এই ক্রিকেট তারকা। এ বিষয়ে মিডিয়ার সামনে মুখ খোলেননি তিনি।

তবে আওয়ামী লীগের প্রেস উইং জানিয়েছে যে, নিজ জেলা নড়াইল-২ আসনে প্রার্থিতার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর শহরের উন্নয়নে কাজ করার কথা জানিয়েছেন মাশরাফি।

পেশাদার খেলা চালিয়ে যাওয়া অবস্থাতেই সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দেয়ার উদাহরণ ক্রিকেটারদের মধ্যে নতুন নয়। শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়সুরিয়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর না নিয়েই শ্রীলঙ্কার ২০১০ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন; তিনি ওই নির্বাচনে বিজয়ীও হয়েছিলেন।

তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে এই ঘটনা এবারই প্রথম।

সামনে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপ শেষেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন মাশরাফি, এটা অনেকটাই নিশ্চিত। বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে অধিনায়ক মাশরাফির রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বিসিবির কোন বিধিনিষেধ আছে কী?

এমন প্রশ্নের জবাবে বিসিবির মুখপাত্র জালাল ইউনুস বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘মাশরাফি তার ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছেন। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর তিনি খেলা থেকে রিটায়ার করবেন। এটা কোন নিয়ম নাই যে কোন ক্রিকেটার রাজনীতি করলে খেলতে পারবেন না।’

তার মতে, ‘এটা যার যার সাংবিধানিক অধিকার। উনি যদি মনে করেন যে, রাজনীতির পাশাপাশি তিনি খেলাতেও পারফর্ম করতে পারবেন, তাহলে আমাদের কোন নিয়ম নাই যে আমরা তাদেরকে কোন বাঁধা দিতে পারবো। তাছাড়া মাশরাফিকে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য এক মাস দেড় মাস ব্যস্ত থাকবেন। বাকিটা তিনি ম্যানেজ করে নেবেন।’