প্রচ্ছদ হেড লাইন খরচসহ বিএসএমএমইউকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট হস্তান্তর

খরচসহ বিএসএমএমইউকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট হস্তান্তর

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

অবশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বিএসএমএমইউ) নিজেদের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস নির্ণায়ক ‘জি র‌্যাপিড ডট ব্লট’ কিট হস্তান্তর করতে পেরেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এখন চাইলে যেকোনো সময় এই কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা শুরু করতে পারবে বিএসএমএমইউ।

আজ বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল এবং গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও সমন্বয়ক ড. মহিবুল্লাহ খন্দকার বিএসএমএমইউতে গিয়ে কিট জমা দেন। প্রথম দফায় ২০০ কিট পরীক্ষার জন্য দেয়া হয়েছে। পরে আরো ২০০ কিট দেয়া হবে।

গত ৩০ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসএমএমইউকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিটের সক্ষমতা যাচাইয়ে পরীক্ষা করার অনুরোধ করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এরপর ২ মে বিএসএমএমইউ’র ভিসির সাথে বৈঠক করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষক দল। ওই বৈঠকে কিটের সক্ষমতা পরীক্ষা করতে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

বিএসএমএমইউ’র বিলম্ব দেখে গত সোমবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তাদের উদ্ভাবিত কিট ব্যবহারের জন্য সরকারের কাছে সাময়িক সনদ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ আমাদের চিঠি দিয়েছিল। চিঠিতে পরীক্ষার খরচ বাবদ ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ও পরীক্ষার জন্য ২০০ কিট জমা দিতে বলা হয়েছে। গতকাল দুপুরে সেই চিঠি আসায় আমরা ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে কিট দিতে পারিনি। তবে আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকেই আমরা কাজ শুরু করি। সকাল ১১টার দিকে ব্যাংকে টাকা জমা দেয়াসহ বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা কিট পৌঁছে দিয়েছি।

ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এতদিন পর তারা (বিএসএমএমইউ) কিট নিয়েছে, আমি বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই দেখছি। এখন তারা পরীক্ষার কাজটি শুরু করলেই হয়।

‘আসলে করোনা তো আমার একার সমস্যা না। এটি জাতীয় সমস্যা। আমাদের যত সক্ষমতা আছে সবকিছু নিয়েই একে মোকাবিলা করতে হবে। এই গুরুত্বটি বুঝতে হবে। ব্যাপক হারে পরীক্ষা ছাড়া কোনোভাবেই করোনা জয় সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে আমাদের কিট দেশের মানুষের মনে আশার সঞ্চার করবে। এটুকুই বলতে পারি’, বলেন তিনি।