প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ কোটা সংস্কার : ৪ আসামি দুইদিনের রিমান্ডে

কোটা সংস্কার : ৪ আসামি দুইদিনের রিমান্ডে

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রাজধানীর শাহবাগে পুলিশের কর্তব্যকাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগের মামলায় চার আসামির আরো এক মামলায় দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুনানি শেষে বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম কাজী কামরুল ইসলামের আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন-রাকিবুল হাসান ওরফে রাকিব, আলী হোসেন শেখ ওরফে আলী, মাসুদ আলম ওরফে মাসুদ ও আবু সাঈদ ফজলে রাব্বির ওরফে সিয়াম।

সহযোগি পলাতক আসামিদের অবস্থান ও পরিচয় সনাক্ত করে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে, আলামত উদ্ধার, ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী, নির্দেশদাতা, মদদদাতাদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে ও মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত ১৯ মে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক বাহাউদ্দিন ফারুকী। একই সঙ্গে তিনি জামিন নামঞ্জুরের আবেদন করেন।

আসামি মাসুদ আলম ওরফে মাসুদের পক্ষে তার আইনজীবী সাইদুর রহমান ও আসামি আলী হোসেনের পক্ষে আনিসুর রহমান রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। তবে অপর দুই আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

রাষ্ট্রপক্ষে শাহবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।

এদিকে এর আগে এই চার আসামিকে গত ২৯ এপ্রিল দুপুরে ঢাবি সংলগ্ন চানখারপুল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় ওইদিনই মাসুদ আলম ওরফে মাসুদ ও আবু সাঈদ ফজলে রাব্বি ওরফে সিয়ামের দুইদিন, আলী হোসেনের তিন দিন এবং রাকিবুলের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর ১০ মে আরেক মামলায় তিনদিনের রিমান্ড দেন আদালত। এরপর আসামিদের এ মামলায় রিমান্ড চায় পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গত ৮ এপ্রিল কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীরা রাস্তা বন্ধ করে টায়ার ও আসবাবপত্র জ্বালানোসহ নাশকতা এবং পুলিশকে মারধর ও কর্তব্য কাজে বাধা দেয়। ওই ঘটনায় শাহবাগ থানার এসআই রবিউল ইসলাম ১০ এপ্রিল মামলাটি দায়ের করে। ওই ঘটনায় আরো দুটি মামলা করে পুলিশ। আর ভিসির বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসার এসএম কামরুল আহসান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের মামলা করেন।

তবে কোনো মামলার এজাহারেই আসামির নাম উল্লেখ নেই।