বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :
করোনাভাইরাস পুরো বিশ্বের দৃশ্যপটই পাল্টে দিচ্ছে। এই প্রাণঘাতী ব্যাধির কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি, তবে থেমে নেই ভাইরাসটি কার্যকর ওষুধ আবিষ্কারে বিশ্বের নানা প্রান্তের বিজ্ঞানীদের অবিরাম চেষ্টা। আর এর মধ্যেই আশাব্যঞ্জক কথা জানালেন করোনায় বিশ্বে মৃত্যুর শীর্ষে থাকা দেশ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সংক্রামক ব্যাধি বিষয়ক প্রধান বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফাউচি।
ডা. অ্যান্থনি ফাউচি বলছেন, করোনাভাইরাসের পরীক্ষমূলক চিকিৎসায় ট্রায়াল রান দিয়ে অর্থাৎ রোগীর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে প্রাথমিক যে ফলাফল পাওয়া গেছে তাতে তিনি আশাবাদী।
গিলেড নামের একটি আমেরিকান ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির তাদের উৎপাদিত ওষুধ রেমডেসিভির নিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছে। যদিও কোনও তথ্য-প্রমাণ প্রকাশ করা হয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস – এর চালানো এক পরীক্ষা বা ট্রায়াল রানের পর ‘ইতিবাচক উপাত্ত’ পাওয়া গেছে এবং এই পরীক্ষা তাদের ‘প্রাথমিক লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছে।‘রেমডেসিভির হচ্ছে এমন একটি অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ যা ইবোলা রোগের চিকিৎসার জন্য তৈরি হয়েছিল।
বিবিসির জেমস গ্যালাহার গিলেডের এই বিবৃতির ব্যাখ্যা করে বলছেন, কঠিন মেডিকেল শব্দ বাদ দিয়ে সোজা কথায় বলা যায়- গিলেড জানাচ্ছে যে রেমডেসিভির করোনা চিকিৎসায় কাজ করছে।
তিনি বলেন, তবে আমরা যা জানি না, তা হলো কতটা ভালোভাবে এটা কাজ করে এবং তাদের তথ্যপ্রমাণ কতটা জোরালো। তবে কোম্পানিটি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে রেমডেসিভির যত আগে আগে দেয়া যায় ততই কার্যকর।
গিলেড বলছে, আগেভাগেই চিকিৎসা দেয়া হয়েছে এমন শতকরা ৬২ ভাগ রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া সম্ভব হয়েছে। আর যেসব রোগীকে দেরিতে দেয়া হয়েছে তাদের শতকরা ৪৯ ভাগ হাসপাতাল ত্যাগ করেছে। অবশ্য এ ঘোষণার আগে বিজ্ঞান সাময়িকী ল্যান্সেট চীনে রেমডেসিভিরের একটি পরীক্ষার ফল উদ্ধৃত করে জানায় যে, এতে কাজ হয়নি- তবে এ জরিপ সম্পূর্ণ হয়নি কারণ তখন যথেষ্ট রোগী ছিল না।
জেমস গ্যালাহার বলছেন, নিশ্চিতভাবে জানতে হলে আমাদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে পূর্ণাঙ্গ উপাত্ত পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।ফিনান্সিয়াল টাইমস জানাচ্ছে, ২৯ এপ্রিল এ খবর প্রকাশের পর এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘ইতিবাচক’ বলে এর প্রশংসা করার পর গিলেডের শেয়ারের দাম ৬ শতাংশেরও বেশি বেড়ে যায়। আমেরিকার করোনাভাইরাস টাস্ক ফোর্সের ডা. অ্যান্থনি ফাউচি বলেন, প্রাথমিক ফল খুবই আশাব্যঞ্জক।
