প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ এমপিওভুক্তির কাজ দ্রুত গ্রহণ করা হবে : প্রধানমন্ত্রী

এমপিওভুক্তির কাজ দ্রুত গ্রহণ করা হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নীতিমালা অনুসরণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়ে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

বুধবার জাতীয় সংসদে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো এবং এমপিও নীতিমালা ২০১৮’জারি করা হয়েছে। উল্লেখিত নীতিমালার অনুসরণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়ে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির লক্ষ্যে অনলাইন আবেদন গ্রহণ ও ব্যবস্থাপনা এবং বিধিমতে প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের জন্য পৃথক দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর পরই শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সারা দেশে ১ হাজার ৬২৪টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। ফলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপুলসংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারীর কর্মসংস্থানসহ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা নতুন জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ অনুসারে শতভাগ বেতন পাচ্ছেন। বর্তমান সরকারে দ্বিতীয় মেয়াদের ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়-কলেজ ও মাদ্রাসার সর্বমোট ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫৪৬ জন শিক্ষক কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৩ সালে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছিলেন। এরপর দীর্ঘ ২১ বছর একটি প্রাথমিক বিদ্যলয়কে জাতীয়করণ করা হয়নি। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করার পর জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমি ২৬ হাজার ৩৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছি। এতে ১ লাখ ৪ হাজার শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করা হয়েছে। এছাড়া দেশের মোট ১৪২টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৪০টি বেসরকারি কলেজ সরকারি করা হয়েছে। আরো ১৭৯টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও২৯৮টি কলেজ সরকারিকরণের কার্যক্রম চলছে।