প্রচ্ছদ রাজনীতি নির্বাচন এবার নতুনদের নিয়ে ভোটযুদ্ধে বিএনপি

এবার নতুনদের নিয়ে ভোটযুদ্ধে বিএনপি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০২ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। তাদের মধ্যে প্রায় একশজন নতুন মুখ। অর্থাৎ এবারই বিএনপি থেকে প্রথম নির্বাচন করবেন। নিকট অতীত ধরলে এবার সবচেয়ে বেশি নতুন মুখ মনোনয়ন পেয়েছেন।

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন ছাড়া হেভিওয়েটি কেউই বাদ পড়েনি। অবশ্য, দণ্ড ও ঋণখেলাপিসহ কয়েকটি কারণে দলের প্রার্থী হতে পারেননি এমন আলোচিত মুখও কম নয়। আতাউর রহমান আঙ্গুর, আমজাদ হোসেন ও সোহরাব উদ্দিনসহ কয়েকজন সাবেক এমপিও এবার মনোনয়ন পাননি।

শামসুজ্জামান দুদু ছাড়া দলের সিনিয়র নেতাদের প্রায় সবাই আছেন। গতকাল শুক্রবার প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপরই চূড়ান্ত প্রতীক বরাদ্দের চিঠি দেওয়া শুরু হয়। আজ ২০ দলীয় ঐক্যজোট এবং ঐক্যফ্রন্টসহ বিএনপির অন্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করার কথা রয়েছে। দুই জোটকে সর্বোচ্চ ৫০ আসনে ছাড় দেবে দলটি।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। যে লক্ষ্যে এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি তা হচ্ছে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই, শান্তিময় বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা চাই দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি। অসংখ্য নেতাকর্মী মিথ্যা ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক মামলায় কারাবন্দি, তাদের মুক্তি চাই। আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন একমাত্র দুই আসনে (কুমিল্লা-১ ও ২) লড়বেন। কমিটির আরেক সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার এবার প্রার্থী হননি। এর বাইরে দ-প্রাপ্ত ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম আগেই নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়েছেন। নজরুল ইসলাম খান কখনো নির্বাচনে আগ্রহী নন বলে প্রার্থী হননি। স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী মনোনয়ন পেয়েছেন।

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আছে এমন কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এমনকি তাদের সন্তানদেরও মনোনয়নের বাইরে রাখা হয়েছে। শুধু এ কারণে বাদ পড়েছেন জয়পুরহাট-১ আসনের সাবেক এমপি আবদুল আলীমের ছেলে ফয়সাল আলীম। যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দ-প্রাপ্ত সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরা মনোনয়ন চাননি।

চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, জোট সরকারের আমলে জঙ্গি উত্থানের অভিযোগে বিতর্কিত নেতা ব্যারিস্টার আমিনুল হক, আলমগীর কবির মনোনয়ন পেয়েছেন। গোলাম মাওলা রনি, হাফিজ ইব্রাহিমের মতো বিতর্কিরাও আছেন। সংস্কারপন্থি নেতা মফিকুল হাসান তৃপ্তি, আলমগীর কবির, সরফুদ্দিন সান্টু, মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান, সাখাওয়াত হোসেন বকুল, গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম, নাসিরুল হক সাবু, আনোয়ারুল আজিমও মনোনয়ন পেয়েছেন।

৬ জন সংখ্যালঘু, ১০ জন নারী মনোনয়ন পেয়েছেন। খায়রুল কবির খোকন, ডা. শাহাদাত হোসেন, মনোয়ার হোসেন, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আবু সাঈদ চাঁদসহ অন্তত ৫ জন নেতা কারাগারে আছেন, যারা মনোনয়ন পেয়েছেন। সাবেক ছাত্রনেতাদের বেশ কয়েকজন আছেন চূড়ান্ত তালিকায়।

প্রার্থী তালিকা ঘেঁটে দেখা গেছে, মনোনয়নপ্রাপ্তদের অধিকাংই নতুন প্রার্থী। দণ্ড, ঋণখেলাপি, মৃত্যু, বার্ধক্যসহ নানা কারণে অনেকেই নির্বাচন করতে পারছেন না। সেখানে নতুন মুখ এসেছে। কিছু আসনে সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের স্ত্রী-সন্তানরা মনোনয়ন পেয়েছেন।

জয়নুল আবেদীন, আবদুস সালাম, ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, ফরহাদ হোসেন আজাদ, জাহিদুর রহমান, হাসান রাজীব প্রধান, রোকন উদ্দিন বাবুল, এমদাদুল হক ভরসা, মোহাম্মদ আলী সরকার, পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী, মোস্তাফিজুর রহমান, শাহ ওয়ারেস আলী মামুন, গোলাম মাওলা রনি, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, ডা. সানসিলা জেবরিন, জেবা আমিন খান, রিটা রহমান, জাবেদ মাসুদ মিলটন, নজরুল ইসলাম আজাদ,

কনক চাঁপা, কামরুন্নাহার শিরিন, আকবর হোসেন, শফিকুল হক মিলন, আবু সাঈদ চাঁদ, জাকির হোসেন সরকার, ইরফান ইবনে আমান, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, রকিবুল ইসলাম বকুল, মিয়া নুরুদ্দিন আহমেদ অপু, সাইফুল আলম নীরব, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, মিল্টন বৈদ্য, আনোয়ারুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম ধলু, রুহুল আমিন দুলাল, বাবু খান, শহীদ্জ্জুামান, মোখলেসুর রহমান,

রেজাউল করিম খান চুন্নু, ডা. আনোয়ারুল হক, শহীদুল ইসলাম, শাহ রিয়াজুল হান্নান, কাজী মজিবুল হক, শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া, নুরুল আমিন, আজিবুল্লাহ বাহার, ডা. শাহাদাত হোসেন, এনামুল হক, জসিম উদ্দিন সিকদার, ইসহাক চৌধুরী, কুতুব উদ্দিন বাহার, তমিজ উদ্দিন, এসএ জিন্নাহ, মোশাররফ হোসেনসহ অনেকেই এবার নতুন প্রার্থী।

চাঁদপুর-১ আসনের সাবেক আলোচিত প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন কারাগারে আছেন। তাকে এবার মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। সেখানে মনোনয়ন পেয়েছেন মালয়েশিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনায় পড়তে হয়েছে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকদের। কুষ্টিয়ার সোহরাব উদ্দিন আগের সাংসদ ছিলেন, এবার তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তবে কুষ্টিয়ার জনপ্রিয় নেতা তিনি। মেহেরপুর-২ আসন থেকে ২০০৮ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত আমজাদ হোসেনও মনোনয়নবঞ্চিত হলেন।

ডা. সানসিলা জেবিরন শেরপুর-১ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি সবচেয়ে কম বয়সী প্রার্থী। জানা গেছে, তার বয়স ২৫ বছর। তার বাবা হযরত আলীর মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় তার মনোনয়ন নিশ্চিত হয়েছেন। জেবরিন মডার্ন মেডিক্যাল কলেজের একজন প্রভাষক।

প্রার্থী ঘোষণা বিলম্বের কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নানাভাবে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। এ কারণে আমাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে বিলম্ব হয়েছে। এখনো যেগুলো চূড়ান্ত হয়নি অথবা আদালতে আছেন এবং ২০ দলীয় জোট এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের নাম শনিবার ঘোষণা করা হবে।

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, দলের চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মতবিরোধ ভুলে প্রার্থীদের পক্ষে এবারের নির্বাচনে আন্দোলনের অংশ হিসেবে কাজ করার জন্য বলেছেন। এ ছাড়া গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ফিরে পেতে জনগণকে বিএনপির সঙ্গে থাকার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর সমর্থকরা গুলশান কার্যালয়ের বাইরে স্লোগান দিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন।

অধিকাংশ নেতার বিরুদ্ধে মামলা থাকায় বিএনপি এবার নির্বাচনী কৌশল হিসেবে ৩০০ আসনে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছিল ৬৯৬ জনকে। রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ে তাদের মধ্যে ৫৫৫ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার মিলিয়ে আরও অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতা প্রার্থিতা ফিরে পান।

৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখের আগেই ৩০০ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে হবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে।

মনোনীতদের চূড়ান্ত তালিকা ইসিতে পাঠানোর আগে মির্জা ফখরুলকে জোট শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির ফয়সালা করতে হবে।
বিএনপির আংশিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার আগে শুক্রবার দুপুরে জোট শরিক গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু ও নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরীর সঙ্গে দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন মির্জা ফখরুল। বিএনপি কার্যালয় থেকে বলা হয়, আসন বণ্টন নিয়ে সমাধান করতেই তাদের এ বৈঠক।

অন্যদিকে চূড়ান্ত মনোনয়নের চিঠির পেতে কার্যালয়ের সামনে অপেক্ষায় ছিলেন বিএনপির প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা।

জানা গেছে, রাজশাহী-৫ নজরুল ইসলাম এবং রাজশাহী-৬ আবু সাঈদ চাঁদ মনোনয়ন পেয়েছেন। নাদিম মোস্তফা আপিল শুনানি আজ। শুনানিতে প্রার্থী হিসেবে বৈধ হলে মনোনয়ন পরিবর্তন হতে পারে। চাঁদেরও শুনানি আজ। তার মনোনয়নপত্র অবৈধ হলে তিনি বাদ পড়বেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, ময়মনসিংহ-৩ আহমেদ তাইয়েবুর রহমান হিরনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন যোগ্য প্রার্থী হওয়ায় তাকেই চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দেওয়া হবে। এছাড়াও তালিকায় প্রকাশ করা আরও কয়েকটি আসনে পরিবর্তন আসতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।

মনোনয়ন পেলেন যারা : পঞ্চগড়-১ ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, পঞ্চগড়-২ ফরহাদ হোসেন আজাদ, ঠাকুরগাঁও-১ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঠাকুরগাঁও-৩ জাহিদুর রহমান, দিনাজপুর-২ মোহাম্মদ সাদিক রিয়াজ, দিনাজপুর-৪ আক্তারুজ্জামান মিয়া, দিনাজপুর-৫ এজেডএম রেজোয়ানুল হক, নীলফামারী-১ রফিকুল ইসলাম, লালমনিরহাট-১ হাসান রাজীব প্রধান, লালমনিরহাট-২ রোকন উদ্দিন বাবুল, লালমনিরহাট-৩ আসাদুল হাবিব দুলু, রংপুর-২ মোহাম্মদ আলী সরকার, রংপুর-৩ রিটা রহমান, রংপুর-৪ এমদাদুল হক ভরসা, রংপুর-৬ সাইফুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম-১ সাইফুর রহমান রানা, কুড়িগ্রাম-৩ তাসভীর-উল ইসলাম, কুড়িগ্রাম-৪ মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, গাইবান্ধা-৪ ফারুক কবির আহমেদ,

গাইবান্ধা-৫ ফারুক আলম সরকার, জয়পুরহাট-১ ফজলুর রহমান, জয়পুরহাট-২ এইএম খলিলুর রহমান, বগুড়া-১ গাজী রফিকুল ইসলাম, বগুড়া-৪ মোশাররফ হোসেন, বগুড়া-৫ গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ হারুনুর রশীদ, নওগাঁ-১ মোস্তাফিজুর রহমান, নওগাঁ-২ শামসুজ্জোহা খান, নওগাঁ-৩ পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী, নওগাঁ-৪ শামসুল আলম প্রামাণিক, নওগাঁ-৫ জাহিদুল ইসলাম ধলু, নওগাঁ-৬ আলমগীর কবির, রাজশাহী-১ ব্যারিস্টার আমিনুল হক, রাজশাহী-২ মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী-৩ শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী-৪ আবু হেনা, রাজশাহী-৫ নজরুল ইসলাম মন্ডল, রাজশাহী-৬ আবু সাঈদ চাঁদ, নাটোর-১ কামরুন্নাহার, নাটোর-২ সাবিনা ইয়াসমিন ছবি, নাটোর-৩ দাউদার মাহমুদ, নাটোর-৪ আবদুল আজিজ,

সিরাজগঞ্জ-১ রুমানা মোরশেদ কনক চাঁপা, সিরাজগঞ্জ-৩ আবদুল মান্নান তালুকদার, সিরাজগঞ্জ-৫ আমিরুল ইসলাম খান আলীম, সিরাজগঞ্জ-৬ কামরুদ্দিন ইয়াহিয়া খান মজলিস, পাবনা-২ সেলিম রেজা হাবিব, পাবনা-৩ আনোয়ারুল ইসলাম, পাবনা-৪ হাবিবুর রহমান হাবিব, মেহেরপুর-১ মাসুদ অরুন, মেহেরপুর-২ জাভেদ মাসুদ মিলটন, কুষ্টিয়া-১ রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-৩ জাকির হোসেন সরকার, কুষ্টিয়া-৪ মেহেদি আহমেদ রুমী, চুয়াডাঙ্গা-১ মো. শহীদুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা-২ মাহমুদ হাসান খান (বাবু খান), ঝিনাইদহ-২ আবদুল মজিদ, ঝিনাইদহ-৪ সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যশোর-১ মফিকুল হাসান তৃপ্তি, যশোর-৩ অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, যশোর-৪ টি এস আইয়ুব, যশোর-৬ আবুল হোসেন আজাদ, মাগুরা-১ মনোয়ার হোসেন, মাগুরা-২ নিতাই রায়চৌধুরী, নড়াইল-১ সাজ্জাদ হোসেন,

বাগেরহাট-১ শেখ মাসুদ রানা, বাগেরহাট-২ এম এ সালাম, খুলনা-১ আমির এজাজ খান, খুলনা-২ নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা-৩ রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা-৪ আজিজুল বারী হেলাল, সাতক্ষীরা-১ হাবিবুল ইসলাম হাবিব, পটুয়াখালী-১ আলতাফ হোসেন চৌধুরী, পটুয়াখালী-৩ গোলাম মাওলা রনি, পটুয়াখালী-৪ এবিএম মোশাররফ হোসেন, ভোলা-২ হাফিজ ইব্রাহিম, ভোলা-৩ মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ভোলা-৪ নাজিম উদ্দিন আলম, বরিশাল-১ জহির উদ্দিন স্বপন, বরিশাল-২ সরফুদ্দিন সান্টু, বরিশাল-৩ জয়নুল আবেদীন, বরিশাল-৫ মজিবর রহমান সরোয়ার, বরিশাল-৬ আবুল হোসেন খান, ঝালকাঠি-১ ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঝালকাঠি-২ জেবা আমিন খান, পিরোজপুর-৩ রুহুল আমিন দুলাল, জামালপুর-২ সুলতান মাহমুদ বাবু, জামালপুর-৩ মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, জামালপুর-৪ ফরিদুল করিব তালুকদার শামীম, জামালপুর-৫ শাহ ওয়ারেস আলী মামুন,

শেরপুর-১ ডা. সানসিলা জেবরিন, শেরপুর-২ মোখলেসুর রহমান রিপন, শেরপুর-৩ মাহমুদুল হক রুবেল, ময়ময়সিংহ-২ শাহ শহীদ সরোয়ার, ময়মনসিংহ-৩ আহমেদ তাইয়েবুর রহমান হিরণ, ময়মনসিংহ-৫ জাকির হোসেন, ময়মনসিংহ-৬ শামস উদ্দিন আহমেদ, ময়মনসিংহ-৭ জয়নাল আবেদীন, ময়মনসিংহ-৯ খুররম চৌধুরী, ময়মনসিহং-১১ ফখর উদ্দিন আহমেদ বাচ্চু, নেত্রকোনা-১ ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, নেত্রকোনা-২ ডা. আনোয়ারুল হক, নেত্রকোনা-৩ রফিকুল ইসলাম হিলালী, নেত্রকোনা-৪ তাহমিনা জামান, কিশোরগঞ্জ-১ রেজাউল করিম খান চুন্নু, কিশোরগঞ্জ-২ মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান, কিশোরগঞ্জ-৪ ফজলুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-৫ শেখ মুজিবর রহমান ইকবাল, কিশোরগঞ্জ-৬ শরীফুল আলম,

টাঙ্গাইল-১ শহীদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল-২ সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, টাঙ্গাইল-৫ মাহমুদুল হাসান, টাঙ্গাইল-৬ গৌতম চক্রবর্তী, টাঙ্গাইল-৭ আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, মানিকগঞ্জ-১ এসএ জিন্নাহ কবির, মানিকগঞ্জ-২ মাঈনুল ইসলাম খান শান্ত, মুন্সীগঞ্জ-১ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, মুন্সীগঞ্জ-২ মিজানুর রহমান সিনহা, মুন্সীগঞ্জ-৩ আবদুল হাই, ঢাকা-২ ইরফান ইবনে আমান, ঢাকার-৩ গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকার-৪ সালাহউদ্দিন আহম্মেদ, ঢাকা-৮ মির্জা আব্বাস, ঢাকা-১০ আবদুল মান্নান, ঢাকা-১১ শামীম আরা বেগম, ঢাকা-১২ সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা-১৩ আবদুস সালাম, ঢাকা-১৬ আহসান উল্লাহ হাসান, ঢাকা-১৯ দেওয়ান মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, ঢাকা-২০ তমিজ উদ্দিন, গাজীপুর-১ চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী, গাজীপুর-২ সালাহউদ্দিন সরকার, গাজীপুর-৪ শাহ রিয়াজুল হান্নান, গাজীপুর-৫ ফজলুল হক মিলন,

নরসিংদী-১ খায়রুল কবির খোকন, নরসিংদী-২ ড. মঈন খান, নরসিংদী-৪ সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, নারায়ণগঞ্জ-২ নজরুল ইসলাম আজাদ, রাজবাড়ি-১ আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম, রাজবাড়ি-২ নাসিরুল হক সাবু, ফরিদপুর-১ শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, ফরিদপুর-২ শামা ওবায়েদ, ফরিদপুর-৩ চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, ফরিদপুর-৪ খন্দকার ইকবাল হোসেন, গোপালগঞ্জ-১ এফ ই সরফুজ্জামান, গোপালগঞ্জ-২ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, গোপালগঞ্জ-৩ আফজাল হোসেন, মাদারীপুর-১ সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী, মাদারীপুর-২ মিলটন বৈদ্য, মাদারীপুর-৩ আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, শরিয়তপুর-২ শফিকুর রহমান কিরন, শরিয়তপুর-৩ মিয়া নুরুদ্দিন আহমেদ অপু,

সুনামগঞ্জ-১ নজির হোসেন, সুনামগঞ্জ-২ নাসির চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-৪ ফজলুল হক আপসিয়া, সুনামগঞ্জ-৫ মিজানুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৩ শফি আহমেদ চৌধুরী, সিলেট-৪ দিলদার হোসেন সেলিম, মৌলভীবাজার-১ নাসির উদ্দিন আহমেদ, মৌলভীবাজার-৩ নাসের রহমান, মৌলভীবাজার-৪ মজিবুর রহমান চৌধুরী, হবিগঞ্জ-৩ জি কে গউস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ একরামুজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, কুমিল্লা-১ ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কুমিল্লা-২ ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কুমিল্লা-৩ কাজী মজিবুল হক, কুমিল্লা-৮ জাকারিয়া তাহের সুমন, কুমিল্লা-৯ আনোয়ারুল আজিম, চাঁদপুর-১ মোশাররফ হোসেন, চাঁদপুর-২ ডা. জালাল উদ্দিন, চাঁদপুর-৪ আবদুল হান্নান, চাঁদপুর-৫ মমিনুল হক, ফেনী-২ জয়নাল আবেদীন, ফেনী-৩ আকবর হোসেন, নোয়াখালী-১ ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, নোয়াখালী-২ জয়নুল আবদেীন ফারুক, নোয়াখালী-৩ বরকত উল্লাহ বুলু, নোয়াখালী-৪ মো. শাহজাহান, নোয়াখালী-৫ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নোয়াখালী-৬ ফজলুল আজিম, লক্ষ্মীপুর-২ আবুল খায়ের ভূঁইয়া, লক্ষ্মীপুর-৩ শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী,

চট্টগ্রাম-১ নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম-২ আজিবুল্লাহ বাহার, চট্টগ্রাম-৪ ইসহাক চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৬ জসিম উদ্দিন সিকদার, চট্টগ্রাম-৭ কুতুব উদ্দিন বাহার, চট্টগ্রাম-৯ ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম-১০ আব্দুল্লাহ আল নোমান, চট্টগ্রাম-১১ আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১২ এনামুল হক, চট্টগ্রাম-১৩ সারোয়ার জামাল নিজাম, চট্টগ্রাম-১৬ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার-১ হাসিনা আহমেদ, কক্সাবাজার-৩ লুৎফর রহমান কাজল, কক্সাবাজার-৪ শাহজাহান চৌধুরী, খাগড়াছড়ি- শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া, রাঙামাটি- মনি স্বপন দেওয়ান, বান্দরবান- সাচিং প্রু।