প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক ইয়েমেনে ফের বাসের ওপর সৌদির হামলা, নিহত ১৯

ইয়েমেনে ফের বাসের ওপর সৌদির হামলা, নিহত ১৯

ইয়েমেনে আবারও বাসের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, বন্দর নগরী হোদেইদায় শনিবারের ওই বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। খবর ডেইলি সাবাহ’র।

ইয়েমেনের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন ‍মুখপাত্র ইউসেফ আল-হাদিরি বলেছেন, হোদেইদার জাবাল রাস এলাকায় বেসামরিক লোকবাহী দুটি বাসে হামলা চালায় সৌদি জোটের যুদ্ধবিমান। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত এবং আরও ৩০ জন আহত হয়েছেন।

কর্মকর্তারা বলছেন, নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।

জার্মান প্রেস এজেন্সিকে (ডিপিএ) আল-হাদিরি বলেন, নিহতদের প্রকৃত সংখ্যা এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। কারণ মৃত ব্যক্তিদের একজনের শরীরের অংশ আরেকজনের সঙ্গে মিশে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা ডিপিএ-কে জানিয়েছে, বোমা হামলার শিকার বাস দুটিতে বেসামরিক ব্যক্তিরা যাতায়াত করছিলেন। তারা তাদের এলাকায় বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে লড়াই এড়াতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন।

এদিকে ইরানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে ২০১৫ সাল থেকে লড়াই করে যাওয়া সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ওই হামলা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

গেল জুন থেকে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত হোদেইদায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি জোট। ওইসময় হোদেইদার বিমানবন্দর দখল করে নেয় সরকারি বাহিনী। ইয়েমেনি বাহিনী এখন হোদেইদা এবং এর সমুদ্রবন্দর দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে। এই বন্দর দিয়েই দেশটির আমদানি এবং সাহায্যের ৮০ ভাগ ইয়েমেনে পৌঁছায়।

দাতব্য সংস্থাগুলো সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ইতোমধ্যে দুর্ভিক্ষের প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ইয়েমেনে সরকারি বাহিনীর এ ধরনের হামলা দেশটির জনগণের ওপর ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে।

ইয়েমেনকে বিশ্বের সবচেয়ে মানবিক সঙ্কটাপন্ন দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ। সাড়ে তিন বছরের যুদ্ধের পর দুই কোটি ২০ লাখ ইয়েমেনি বা দেশটির তিন-চতুর্থাংশ মানুষ সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল।

উল্লেখ্য, এর আগে গেল আগস্টে স্কুল শিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি বাসে সৌদি জোটের হামলায় কমপক্ষে ৪৩ জন নিহত হয়। আহত হয় আরও প্রায় অর্ধশত।