প্রচ্ছদ সারাদেশ খুলনা বিভাগ “ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধ রুখে দাঁড়াও” থেকে “শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা” – মোফাজ্জেল...

“ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধ রুখে দাঁড়াও” থেকে “শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা” – মোফাজ্জেল হক

সুজন কুমার কর্মকার, কুষ্টিয়া : মোফাজ্জেল হক একজন তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা। সেই ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। নিয়মিত নিজ এলাকায় ছড়াচ্ছেন শেখ হাসিনার ‘উন্নয়নের বার্তা। প্রতিদিন বের হচ্ছেন তিনি। সন্ধ্যা পার করে রাত পর্যন্ত এলাকারা মানুষদের কাছে যাচ্ছেন। তাদের সাথে কুশল বিনিময় করছেন। হাতে তুলে দিচ্ছেন একটি লিফলেট। তাতে লেখা, ‘যে কারণে দরকার শেখ হাসিনার সরকার’। গত ছয় মাস ধরে নিয়মিতই তিনি একাজ করে আসছেন। মোফাজ্জেল হকের নিজের লেখা লিফলেটে শেখ হাসিনার সরকারের শিক্ষা খাত, পদ্মা সেতু তৈরী, বাজেট, স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন তুলে ধরেছেন। তার লক্ষ্য এভাবে প্রচার করলে জনগণ শেখ হাসিনার উন্নয়নের সঠিক বার্তা জানতে পারবেন। মোফাজ্জেল হক জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসন থেকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে চান। তিনি মনে করেন শেখ হাসিনার বার্তা ঘরে ঘরে পৌছানো দরকার আগে। ইতিমধ্যে তিনি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ৩০ হাজার লিফলেট বিতরণ করেছেন। সামনে আরও করবেন।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাসিন্দা মোফাজ্জেল হক স্থানীয় একটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। তিনি আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটির সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ খুলনা বিভাগীয় শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। ছিলেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি।
ভারতের কাটাতারের বেড়া সংলগ্ন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসন। সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সীমান্তবর্তী এই উপজেলায় বেশ জোরেশোরেই বইছে ভোটের হাওয়া। জেলার বৃহত্তম এ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে নির্বাচনী আসন। এই আসনে ২০০৮ সালের আগ পর্যন্ত বিএনপির দাপট থাকলেও এখন তা আগের মত নেই। আওয়ামী লীগ সমর্থিত বর্তমান এমপি রেজাউল হক চৌধুরী ও সাবেক এমপি আফাজ উদ্দিন এক অপরের প্রতিদ্বন্দী। দলীয় কোন্দল থাকলেও দৌলতপুরবাসীর মধ্যে শেখ হাসিনার ‘উন্নয়নের বার্তা পৌছে দিচ্ছেন মোফাজ্জেল হক। সেই সাথে চালিয়ে যাচ্ছেন নির্বাচনী প্রচারনা।
তার সাথে কথা বলে জানা গেছে বেশ লম্বা তার রাজনীতির গল্প। সেই ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয়। রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে ছাত্র থাকা অবস্থায় বিএনপি-জামাত জোট আমলেও স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতারা যখন ক্যাম্পাসে শিবিরের অত্যাচারে দিশেহারা তখন ও মোফাজ্জেল হক ক্যাম্পাসে মিছিল মিটিং চালিয়ে গেছেন। ২০০১ সালে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াতের জোট আমলে ৮ম শ্রেণীর বাংলা পাঠ্যপুস্তকে জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক উল্লেখ করার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে“ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও” হাতে লেখা লিফলেট বিতরন করেন মোফাজ্জেল হক। সেই সময় ছাত্র শিবিরের অত্যাচারে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা কোণঠাসা। রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় তুখোর ছাত্রলীগ নেতা তৎকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আল বেরুনী ফারুক সহ মোতাহার, কাজল রায়, আশিকুর রহমান সবুজ, কালাম শিবিরের অত্যাচারে পলাতক তখনও মোফাজ্জেল হক ক্যাম্পাসে ছিলেন সক্রিয়। সেই সময় রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৮ জন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী নিয়ে একটি মিছিল বের হয়। সেই মিছিলের একজন ছিলেন মোফাজ্জেল হক। ২০০৩ সালে কামরুজ্জামান চঞ্চল ও রশিদ প্যানেলের রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য হন মোফাজ্জেল হক। ২০০৪ সালে ইব্রাহিম হোসেন ও আইননুদ্দিন এমপি প্যানেলের রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ পান তিনি। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে কুষ্টিয়ায় ফিরে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি পদে কুষ্টিয়ার রাজনীতিতে সক্রিয় হন। এখন তিনি আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটির সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের খুলনা বিভাগীয় শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।
তৎকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আল বেরুনী ফারুক মুঠোফোনে জানান, মোফাজ্জেল হক একজন ত্যাগী নেতা। বিএনপি-জামাত জোট আমলে আমরা যখন শিবিরের অত্যাচারে পালিয়ে বেড়িয়েছি মোফাজ্জেল তখনও ক্যাম্পাসে সক্রিয় ছিল। ছাত্র রাজনীতি থেকে তার অবদান ব্যাপক।
রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর ড. প্রভাষ কুমার কর্মকার মুঠোফোনে জানান, মোফাজ্জেল হক একজন সৎ, যোগ্য এবং মেধাবী উদিয়মান তরুণ ছাত্রনেতা থেকে এখন সে একজন ত্যাগী নেতা। যার মধ্যে আছে পরিচ্ছন্ন ব্যাক্তিত্ব, সাহসিকতা, সততা ও অঙ্গিকারে আবদ্ধ এক পরিচ্ছন্ন রাজনীতিকের প্রতিচ্ছবি। যেখানে আস্থা, মনোবল, ভালোবাসা ও প্রত্যাশা এসে সাধারণ জনগণের মাঝে বারবার একিভূত হয়। ড. প্রভাষ কুমার কর্মকার আরো জানান, ছাত্র জীবনে সেই সময় রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে কর্মকান্ড অত্যন্ত প্রশংশনীয়। সেই সময়ে যখন ছাত্রলীগের তেমন নামগন্ধ ছিলো না, শিবিরের প্রকোপ ছিলো, সেই সময়ে শিবিরের বিরুদ্ধে ৮-১০ মিছিল করতো তার মধ্যে মোফাজ্জেল হক একজন। মোফাজ্জেল হকের যে ভাবনা দেশের মানুষের কথা ফুটে ওঠে। তার মত যোগ্য ও মেধা সম্পন্ন নেতৃত্ব এখন দরকার। তার মত মানুষ যদি আওয়ামীলীগ থেকে নমিনেশন পায়, তাহলে সে একটা বিপ্লব ঘটাতে পারবে।
তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জেল হক জানান, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক। ছাত্রজীবন থেকে ছাত্র রাজনীতি থেকে আমার শুরু। আমি মনে করি আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘উন্নয়নের বার্তা” ঘরে ঘরে পৌছে দেয়া দরকার। আমি আমার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। প্রতিনিয়ত ছুটে চলেছি দৌলতপুরের এই প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্ত। দৌলতপুর বাসির মাঝে পৌছে দিচ্ছি সরকারের উন্নয়ন বার্তা। লক্ষ্যে আছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-১(দৌলতপুর) আসন থেকে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করার। সেই জায়গা থেকে নিয়মিত নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছি।