প্রচ্ছদ খেলাধুলা ইতিহাস গড়ে ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতলো বাংলাদেশ

ইতিহাস গড়ে ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতলো বাংলাদেশ

ভারত থেকে চরম হতাশাই উপহার দিয়েছিল পুরুষ ক্রিকেট দল। আফগানিস্তানের মত দলের কাছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পুড়তে হলো। চারদিকে হতাশা আর ব্যর্থতার খবরের মাঝেও যখন ক্রিকেটটা বাংলাদেশের মানুষকে আনন্দ দিতো, তখন সেই ক্রিকেটও পথ হারিয়ে বসেছিল দেরাদুনে গিয়ে; কিন্তু সত্যিই কি ক্রিকেট এত সহজে হারতে পারে? পারে না।

পারে না বলেই, পুরুষ ক্রিকেটাররা না পারুক, নারী ক্রিকেটাররা বয়ে নিয়ে এলো বাংলাদেশের জন্য দারুণ এক সু-সংবাদ। তৈরি করলো এক গৌরবোজ্জল ইতিহাস। ক্রিকেটের ইতিহাসে (হোক সেটা পুরুষ কিংবা নারী) প্রথম কোনো ট্রফি জয়ের স্বাদ দিলো বাংলাদশের নারী ক্রিকেটাররা। কুয়ালালামপুরের কিনরারা একাডেমি ওভাল মাঠে নারী ক্রিকেটের পরাশক্তি ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে নারী এশিয়া কাপের শিরোপা জিতে নিলো বাংলাদেশ।

দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে বাংলাদেশ নারী দলের এমন সাফল্য অভূতপূর্ব। এশিয়া কাপের এ আসরে দুর্দান্ত খেলছে বাংলাদেশের লাল-সবুজ প্রমীলারা। এখন পর্যন্ত খেলা নিজেদের প্রথম ম্যাচ ব্যতীত বাকি সব ম্যাচেই দাপট দেখিয়েছেন তারা।

টানা জয়ের মধ্যে দিয়ে প্রথমবারের মতো এমন আসরের ফাইনালে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার কাছে হারের পর বিস্ময়করভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। পাকিস্তান, ভারত, থাইল্যান্ড ও স্বাগতিক মালয়েশিয়াকে দাপটের সঙ্গে হারিয়েছেন বাঘিনীরা।

খেলায় প্রথম ইনিংসে শিরোপা ঘরে তোলার মিশনে নেমে বাংলাদেশের নারীদের বোলিংয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত। বাংলাদেশ অধিনায়ক সালমা খাতুনের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ভারতের প্রথম উইকেটের পতন হয়। ব্যক্তিগত ৭ রানে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার এস. মানধানা।

এরপর হারমানপিত কের (সি) ব্যতীত ভারতীয় প্রমীলাদের আর কেউ বাঘিনীদের বলিং তোপে দাঁড়াতে পারেনি। দলের হয়ে একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিটি আসে তার ব্যাট থেকেই। তার ব্যাটের উপর ভর করেই ১১২ রানের লক্ষ্য বেধে দেয় ভারত।

ভারতের দেয়া ১১২ রানের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। ওপেনার শামীমা সুলতানা এবং আয়শা রহমান স্কোরবোর্ডে ৩৫ রান যোগ করে অপরাজিত থাকেন এ ওপেনিং জুটি।

পুনম যাদব ব্রেকথ্রু এনে দেন। ২৩ বলে ১৭ রানে আউট হয় আয়শা রহমান। পরের বলেই আবার আঘাত হানেন পুনম। শামীমা সুলতানাকে ১৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি। দলীয় ৫৫ রানে ফারজানা হক পুনমের তৃতীয় শিকারে পরিণত হলে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর নিগার সুলতানার ৩০ রানের উপর ভর করে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬ ওভারে ৮৫ রান। ৪টি উইকেটই যায় পুনম যাদবের ঝুলিতে।