প্রচ্ছদ খেলাধুলা অসংখ্য রেকর্ড গড়ে জিতল বাংলাদেশ

অসংখ্য রেকর্ড গড়ে জিতল বাংলাদেশ

এসএ গেমসে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের জয়রথ ছুটছেই। মালদ্বীপকে ২৪৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। এ নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিকখ্যাত গেমসে টানা ৩ ম্যাচে অনবদ্য জয় তুলে নিলেন সালমা বাহিনী।

বৃহস্পতিবার হিমালয় কন্যা নেপালের পোখারায় টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২৫৫ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে মাত্র ৬ রানে অলআউট হয় মালদ্বীপ। ফলে ২৪৯ রানের বিশাল জয় পান লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

এ পথে অসংখ্য রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে এটিই নারীদের সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে সর্ববৃহৎ জয় ছিল ৭০ রানে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে। বৈশ্বিকভাবে এটি তৃতীয় বড় জয়। তাদের সামনে রইল উগান্ডা (৩০৪) ও তানজানিয়ার (২৬৮) মেয়েরা।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ২ ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। সূচনালগ্নে রানআউটে কাটা পড়েন শামীমা সুলতানা (৫)। সেই রেশ না কাটতেই বোল্ড হন সানজিদা ইসলাম (৭)। এরপর দৃশপটে আসেন নিগার সুলতানা ও ফারজানা হক। ধীরে ধীরে সব আলো নিজেদের ওপর কেড়ে নেন তারা।

ব্যাটকে তলোয়ার বানিয়ে মালদ্বীপ বোলারদের কচুকাটা করেন নিগার ও ফারজানা। রীতিমতো তাণ্ডবলীলা চালান তারা। তাদের ঝড় কেউ থামাতে পারেননি। তৃতীয় উইকেটে ২৩৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন নিগার ও ফারজানা। তৃতীয় উইকেটে তো বটেই, যেকোনো উইকেটে এটি বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের জুটি।

১৮তম ওভারের ৫ম বলে বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি করেন নিগার। এতে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান বনে যান তিনি। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে ৪ মেরে শতক পূর্ণ করেন ফারজানাও। ফলে তাতে ভাগ বসান তিনি।

ফলে একদিনে ‘প্রথম’ সেঞ্চুরিয়ান দুজন পেয়ে যায় বাংলাদেশ। এর আগে নারী টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি একবারই দেখেছে বিশ্ব ক্রিকেট। গেল জুনে মালির বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন উগান্ডার প্রসকোভিয়া আলোকা ও রিতা মুসামালি।

শেষ পর্যন্ত ৬৫ বলে ১৪ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন নিগার। এটি বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। আর মাত্র ৫৩ বলে ২০ বাউন্ডারিতে ১১০ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন ফারজানা।

তাদের টর্নেডো ব্যাটিংয়ে ভর করে ২ উইকেটে ২৫৫ রানের পাহাড়সম স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। জবাবে ১২.১ ওভারে মাত্র ৬ রানে গুটিয়ে যায় মালদ্বীপ। এটি বিশ্ব নারী টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে সবচেয়ে কম রানে গুঁড়িয়ে যাওয়ার রেকর্ড। এর আগে রুয়ান্ডার বিপক্ষে সমান ৬ রানে সব উইকেট হারায় মালি।

মালদ্বীপকে দ্রুত প্যাকেট করতে শুরুতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন রিতু মনি। তিনি শিকার করেন ৩ উইকেট। পরে তাকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন জোগানো অধিনায়ক সালমা খাতুন ঝুলিতে ভরেন সমান ৩ উইকেট। নাহিদা আক্তার নেন ১ উইকেট। ইতিমধ্যে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।