ইস্টানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাসোগির নিখোঁজের ঘটনায় সৌদি আরবের কাছে দ্রুত জবাব চেয়েছে ব্রিটেন।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবেইরের কাছে ফোন করে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেছেন, মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের এ সাংবাদিকের বিষয়ে ব্রিটেন জরুরিভিত্তিতে উত্তর প্রত্যাশা করছে।-খবর বিবিসি অনলাইনের।
যৌথ মূল্যবোধের ওপর বন্ধুত্ব নির্ভর করে এমনটি স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি সৌদি আরবকে সতর্কও করেছেন বলেও জানা গেছে।
খাসোগিকে শেষবার গত সপ্তাহে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করতে দেখা গিয়েছিল, এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ নেই। তাকে ওই কনস্যুলেটের ভিতরে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তুরস্ক।
সৌদি আরব তুরস্কের আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়েছে।
এ ঘটনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের চেয়েও কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো যদি সত্যি হয় তাহলে যুক্তরাজ্য এটিকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করবে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, খাসোগির নিখোঁজের বিষয়ে তিনি তখনো সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেননি।
তিনি বলেছেন, আমি বলিনি, কিন্ত বলবো। এখন আমি কিছুই জানিনা। সবাই যা জানে আমিও তাই জানি, অর্থাৎ কিছুই না। তুরস্ক জানিয়েছে, তারা সৌদি আরবের ইস্তানম্বুল কনস্যুলেটে তল্লাশি চালাবে।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তদন্তের অংশ হিসেবে ওই কনস্যুলেট ভবনে তল্লাশি চলতেই পারে এবং তারা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
সৌদি আরবের দাবি, প্রবেশ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই খাসোগি ওই কনস্যুলেট ভবন থেকে বের হয়ে যায়।
কিন্তু তিনি কনস্যুলেট ত্যাগ করেছেন বলে যে দাবি সৌদি আরব করছে, তার প্রমাণ হাজির করতে দেশটির কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
তিনি বলেন, আমরা খাশোগির নিখোঁজ নিয়ে তদন্তের যথাসম্ভব দ্রুত ফল দেখতে চাই। খাশোগি কনস্যুলেট থেকে বেরিয়ে গেছে বলে সৌদি কর্মকর্তারা পার পাবেন না।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে এ মামলা পর্যবেক্ষণ করছেন। কিন্তু এ সংক্রান্ত কোনো তথ্যপ্রমাণ তুরস্ক সরকারের হাতে নেই।
