প্রচ্ছদ সারাদেশ ঢাকা বিভাগ ৫৪ লাখ টাকার ব্রীজেও ভোগান্তি কমেনি হরিরামপুরের ৮ গ্রামের মানুষের

৫৪ লাখ টাকার ব্রীজেও ভোগান্তি কমেনি হরিরামপুরের ৮ গ্রামের মানুষের

নিজস্ব প্রতিবেদক, মানিকগঞ্জ :

জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে খালের উপর ব্রীজ নির্মাণের ৩ বছরেও সুফল পাচ্ছে না মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউনিয়নের সাপাইর-কুন্দরিয়া রাস্তার আশপাশের ৮ এলাকার মানুষের।

জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু কালভার্ট- প্রকল্পের আওতায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউনিয়নের সাপাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে কুন্দরিয়া আজমতের বাড়ীর নিকট ৫৪ লক্ষ ৪ হাজার ৬ শত ৫০ টাকা ব্যয়ে খালের উপর সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সেতু নির্মাণের ৩ বছর পার হলেও ওই ব্রীজ দিয়ে যাতায়াতে এখনো ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খালের উপর ব্রীজ নির্মাণ হলেও খালের কিছু অংশ এখনও ব্রীজের আওতার বাইরেই রয়েছে। ব্রীজের সাথে রাস্তার সংযোগস্থলে মাটি ফেলে রাস্তার সাথে সংযুক্ত না করায় এখনও চলাচলের অনুপযোগী অবস্থায় রয়েছে ব্রীজটি। যার ফলে অর্ধলক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ব্রীজটির কোন সুফল পাচ্ছে না আশপাশের ৮ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

এলাকাবাসী জানায়, গত ৩ বছর আগে ব্রীজটি নির্মাণ হলেও এখনো ওই ব্রীজ দিয়ে যাতায়াত করা যায় না। ব্রীজের পশ্চিম পাশের রাস্তা থেকে নৌকা দিয়ে ব্রীজের ঢালে এসে অনেক কষ্ট করে ব্রীজে উঠে মূল রাস্তায় যেতে হয়। ব্রীজ থাকলেও কৃষি পণ্য হাট-বাজারে নিতে হলে নৌকা দিয়েই খাল পার হতে হয়। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও নৌকা ছাড়া পার হতে পারে না। শুকনা মৌসুমে খালের পানি কমে গেলে কোনরকমভাবে কষ্ট করে হেটে ব্রীজে উঠা গেলেও সামান্য বৃষ্টি হলেই ব্রীজের ঢালে কাদায় ভরে যায়। যার ফলে গ্রামবাসীকে সারাবছরই ভোগান্তি পোহাতে হয়।

এ প্রসঙ্গে হরিরামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মানিকুজ্জামান বলেন, ওই ব্রীজটি নির্মাণকালে আমি ছিলাম না। ওই ব্রীজের পরিপূর্ণ তথ্য আমার জানা নাই। আমরা এবছর ওই এলাকায় একটি ব্রীজের পাশের রাস্তা সংস্কারের জন্য পরিকল্পনা করেছি। তবে কোন রাস্তা আমার সঠিক জানা নাই।
কোন জনপ্রতিনিধি ওই ব্রীজটির জন্য মাটি ভরাটের সুপারিশ করলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এ বিষয়ে চালা ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল আলম বিশ্বাস বলেন, ওই ব্রীজটি নির্মাণের জন্য আমি চাহিদা দিয়েছিলাম কি’না আমার মনে নাই। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও ব্রীজটার চাহিদা দিতে পারেন। গত দুই অর্থবছরে ব্রীজের ঢালে কিছু কিছু মাটি ফেলা হয়েছিল। এখন মাটি পাইনা বলে মাটি ফেলতে পারছি না। বন্যা শেষে ব্রীজটির সংযোগ রাস্তা সংস্কারে কোন পরিকল্পনা আছে কি’না জানতে চাইলে এখনো বাজেট দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি। তবে জনগণের ভোগান্তি না কমলেও ব্রীজিটি নির্মান হয়েছে এটাকেই সফলতা মনে করেন ওই চেয়ারম্যান।