প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক ৪৮ ঘন্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ছে ইরান

৪৮ ঘন্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ছে ইরান


সৌদি তেল স্থাপনায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে।

এক টুইটে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা যথেষ্ট বৃদ্ধি করার জন্য মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অনির্দিষ্ট, শাস্তিমূলক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপগুলো ঘোষিত হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার সৌদির দুটি তেল শিল্প স্থাপনায় চালানো ওই হামলার পেছনে ইরান আছে বলে বারবার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পর সৌদি আরব বলেছে, ‘বৈশ্বিক মনোভাব পরীক্ষার জনই’ হামলাটি চালানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবির পথ ধরে ও সৌদির মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরই ট্রাম্প ওই টুইটটি করেন। যদিও হামলায় জড়িত থাকার কথা বারবার অস্বীকার করে আসছে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান।

গত জুনে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞায় আগেরগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশাল এক তালিকা তৈরি হয়েছে। খামেনি ছাড়াও দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর আট জ্যেষ্ঠ কমান্ডারের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত বছর ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের সই করা পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর তেহরানের বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

চুক্তি থেকে সরে আসার মাস ছয়েক পর ইরানের তেল রফতানি ও অর্থনৈতিক লেনদেনের টুঁটি চেপে ধরতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

এদিকে ইরানের বিরুদ্ধে বড়পরিসরে হামলার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে এগোচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক বা সাইবার হামলার সুপারিশ ট্রাম্পের সামনে উপস্থাপন করেছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।

পরিকল্পনায় বিকল্প হিসেবে রয়েছে ইরানের তেল স্থাপনায় বা বিল্পবী গার্ডের সম্পদে হামলা। সৌদি আরবের তেলক্ষেত্রে হামলায় ইরানের জড়িত থাকার সন্দেহে এমন পাল্টা জবাব দিতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন।

সোমবার সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্পের কাছে এ ধরনের প্রস্তাব করা হয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে এনবিসি নিউজ। পাশাপাশি ইরানের ওপর কূটনৈতিক চাপ বাড়ানোর তৎপরতা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

তেহরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। শনিবার সৌদি রাষ্ট্রীয় খাতের প্রতিষ্ঠান আরামকো পরিচালিত দুটি তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলা চালানো হয়। হামলার পর পর ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা এর দায় স্বীকার করে।

সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে এ হামলার জন্য দোষারোপ করে। ওই দিনই যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কাছে ফোন করেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সহায়তা চান যুবরাজ। সোমবার করণীয় নির্ধারণে সামরিক কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন ট্রাম্প। সেখানেই তার সামনে বিভিন্ন বিকল্প তুলে ধরেন সামরিক কর্মকর্তারা।