প্রচ্ছদ জাতীয় ৩১০৭ জনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল হয়েছে: মন্ত্রী

৩১০৭ জনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল হয়েছে: মন্ত্রী

এখন পর্যন্ত তিন হাজার ১০৭ জন মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও গেজেট বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। শনিবার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের (ভোলা-৩) সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য বলেন। ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে এটি উপস্থাপিত হয়।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, এখন পর্যন্ত তিন হাজার ১০৭ জন মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও গেজেট ‘ভুয়া’ প্রমাণিত হওয়ায় তা বাতিল করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বাদ পড়া তালিকা থেকে চার হাজার ১৮৮ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম গেজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।

এছাড়া তাদের মধ্যে নারী মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা), মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী, মেডিকেল টিমের সদস্য, শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং বেসামরিক মানুষ রয়েছেন বলেও সংসদকে জানান এই মন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে আমাদের প্রত্যাশা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ১৫ হাজার করা, সেটা বারো হাজার করা হয়েছে। আগামী অর্থ বছরে হয়তো হবে। এরই মধ্যে উৎসব ভাতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর দাফনের টাকাও দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে দাফনের পূর্বে টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, সকল মুক্তিযোদ্ধাদের একই ডিজাইনে কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেন মানুষ কবর দেখলেই বুঝতে পারেন এটা মুক্তিযোদ্ধার কবর। অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। যার নামে বাড়ি বরাদ্দ হবে তিনিই হবেন প্রকৃত মালিক। এ ছাড়া জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের ১০ মিনিটের বক্তব্য রেকর্ড সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, যে সকল জায়গায় সম্মুখযুদ্ধ হয়েছে সেগুলো একই নকশায় সংরক্ষণ করা হবে।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে আত্মস্বীকৃতি খুনিদের পদায়ন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছিল।