প্রচ্ছদ হেড লাইন ২০২১ সালের আগে থামবে না করোনা ঝড় !

২০২১ সালের আগে থামবে না করোনা ঝড় !

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

২০২১ সালের আগে- কেউ জানে না কবে থামবে ম’হামা’রী ‘করোনা’ ঝড়। যত দিন যাচ্ছে বিশ্ব পরিস্থিতি খারাপ থেকে খা’রাপের দিকে যাচ্ছে। সবার এখন একটাই প্রশ্ন, কবে এর শেষ হবে এই ঝড়? উত্তর হলো, নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারছে না কেউই। এটা সম্পূর্ণ নতুন একটি ভাইরাস, যার চরিত্র স’ম্প’র্কে কারও কোনো ধারণা নেই।

জিনের গঠন বদলে প্রতিনিয়ত নিজের চরিত্রই বদলে ফেলছে ভাইরাসটি। অতীতে যেকোনো ম’হামা’রী ১২ থেকে ৩৬ মাস স্থায়ী হয়েছে। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় ‘করোনা’ কতদিন স্থায়ী হতে পারে, সেটা অনেকখানি নির্ভর করছে ভ্যাকসিন আবিষ্কার ওপর।

ফিলিপাইনের স্বাস্থ্যবিষয়ক সচিব মারিয়া রোজারিও ভার্জায়ার সোমবার (১৩ এপ্রিল) বলেছেন, কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার না হলে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে করোন ভাইরাস ম’হামা’রীটি স্থায়ী হতে পারে।

ভার্জায়ার রাষ্ট্র পরিচালিত পিটিভি -৪ এ প্রচারিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলছিলেন, অ্যাং আতিন পং এর গণনা বিজ্ঞানীরা আমাদের জানিয়েছেন, সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি পরের বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। আমাদের গণনা বিজ্ঞানীরা গাণিতিক চিহ্ন ও বৈজ্ঞানীক পরিসংখ্যান মিলিয়ে অনুমান করে থাকেন। তাদের গবেষণার ভিত্তিতে, ম’হামা’রীটির সবচেয়ে খা’রাপ পরিস্থিতি আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত স্থায়ী হতে। টিকা আবিষ্কার না হলে এটি ঘটবে।’

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছে। অনেকেই সফলতার দ্বারপ্রান্তে বলা হলেও ভার্জায়ারের মতে, ‘অন্যান্য দেশগুলি যেসব করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন তৈরি করছে সেগুলো সফল হলেও বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হতে প্রায় ৬ থেকে ১২ মাস বা এমনকি এক থেকে দেড় বছর সময় নিতে পারে।’

সোমবার পর্যন্ত ফিলিপাইনে করোনায় আ’ক্রা’ন্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৯৩২ জন। এদের মাঝে মৃ’ত্যু হয়েছে ৩১৫ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৪২ জন। দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেছেন যে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ফিলিপাইনে করোনায় আ’ক্রা’ন্তের সংখ্যা ২৬ হাজার থেকে ৭৫ হাজারে পৌঁছে যেতে পারে।

বাংলাদেশ নিয়ে জাতিসংঘের আরেকটি বার্তা হলো দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। নয়তো মহাবি’পদ আসন্ন হতে পারে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয় বাংলাদেশের মানুষ অসচেতন। সরকার পদক্ষেপ নিয়েও ম’হামা’রি ছড়ানোর সম্ভাবনা অনেক বেশি। আর ম’হামা’রি ছড়ালে তা সরকারের নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাবে বলে সতর্ক করা হয়।

এছাড়াও সরকারের গৃহিত কর্মকান্ডের প্রশংসা করে বলা হয় সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা যথাযথ। মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে লকডাউন করা হয়নি দরিদ্রদের কথা ভেবে কিন্তু আসলেই লকডাউনে আছে বাংলাদেশ। কিন্তু সরকার জনগনকে করোনা স’ম্প’র্কে বুঝাতে অনেকটা ব্যার্থ কিংবা জনগন নিজ থেকে অসতর্ক বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটি এমন একটি প্রা’ণঘা তী রোগ যা আমাদের সাড়া দেওয়ার গতির চেয়ে বেশি গতিতে সং’ক্র’মিত হয়। ৭৭০ কোটি জনগোষ্ঠীর এই বিশ্বে করোনাভাইরাস ম’হামা’রি সং’ক্র’মণের হার উচ্চ ও আন্তর্জাতিকভাবে ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে। বাংলাদেশে ব্যাপক মাত্রায় জনঘনত্ব বিবেচনা করে বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত পন্থা অবলম্বন করে ধারণা করা যায়, প্রতিরোধমূলক উদ্যোগ নেওয়া না হলে ম’হামা’রির প্রভাবে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের মৃ’ত্যু ঘটতে পারে।

জাতিসংঘ তথ্যকেন্দ্র আরো জানায়, ‘এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া রোধ করার জন্য অতি দ্রুত কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে তা অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই আমরা সবাইকে প্রতিরোধমূলক সব ব্যবস্থা মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।

এর ফলে, সরকার ও জাতিসংঘের সংস্থা, নাগরিক সমাজ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো দেশব্যাপী স্বাস্থ্যব্যবস্থা আরো জোরদার করার জন্য বেশ কিছুটা সময় পাবে এবং তার ফলে বাংলাদেশ সরকারকে এই ম’হামা’রি মোকা’বেলা করতে সহযোগিতা করতে পারবে।’