প্রচ্ছদ সারাদেশ হরিরামপুর থানার চুরির মামলার আসামী গাইবান্ধা ও রংপুর থেকে গ্রেফতার

হরিরামপুর থানার চুরির মামলার আসামী গাইবান্ধা ও রংপুর থেকে গ্রেফতার

সায়েম খান, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি:

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার এক চুরির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার বিক্রির টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধারসহ রংপুর ও গাইবান্ধা থেকে ২ অাসামীকে গ্রেফতার করেছে হরিরামপুর থানা পুলিশ।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) হরিরামপুর থানার অফিসার্স ইন-চার্জ (ওসি) মুঈদ চৌধুরীর নির্দেশে পুলিশ পরিদর্শক মো. মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে স্থানীয় থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাদের গ্রেফতার করে ১ মার্চ সোমবার তাদের হরিরামপুর থানায় নিয়ে অাসা হয়। ২ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) তাদেরকে অাদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর নয়াপাড়া গ্রামের মৃত অাব্দুল ফকির শেখের ছেলে মো. মনোয়ার হোসেন বাদল (২৬) ও রংপুর জেলার বদরগঞ্জের রুস্তমাবাদ অাদর্শ গ্রামের মো. মকবুল হোসেন ওরফে চোরা মকবুলের ছেলে মনোয়ার হোসেন (৩৪)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছর ১৭ ডিসেম্বর হরিরামপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের গোয়ালবাগ গ্রামের বাসিন্দা মো. নাজিম উদ্দিন তার বাড়িতে নতুন বিল্ডিং নির্মাণ কাজের জন্য উল্লেখিত অাসামীদ্বয়কে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে নিয়ে অাসে। দুই দিন কাজ করার পর ১৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে নাজিম উদ্দিন ও তার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার রকিবুল হাসান (জুয়েল) এর রাতের খাবারের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে অজ্ঞান করে অাট ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার, নগদ পাঁচ হাজার টাকা এবং দুইটি মোবাইল ফোন চুরি করে পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে বাড়ির কাজের মেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ডাক্তার এনে তাদের জ্ঞান ফেরান।

এ ঘটনায় মো. নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে গত ২ ফেব্রুয়ারি হরিরামপুর থানায় দুইজনকে অাসামী করে একটি চুরির মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০১। এ ব্যাপারে হরিরামপুর অফিসার্স ইন-চার্জ (ওসি) মো. মুঈদ চৌধুরী জানান, অাসামীরা ছদ্মনাম ব্যবহার করে ওই বাড়িতে কাজ করতে অাসে। মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে অাধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় রংপুর থেকে অামাদের একটি টিম প্রথমে এক অাসামীকে গ্রেফতার করে। তার ছবি মামলার বাদীকে দেখালে তিনি অাসামীকে সনাক্ত করেন।

পরে ওই অাসামীর মাধ্যমে স্থানীয় থানা পুলিশের সহযোগিতায় গাইবান্ধা থেকে অারেক অাসামীকে গ্রেফতার করা হয়। অাসামীরা এ চুরির ঘটনার জড়িত শিকার করেছে। তাদের কাছে থেকে চুরির স্বর্ণালংকার বিক্রির টাকা এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। ২ মার্চ (মঙ্গলবার) তাদেরকে অাদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এ অভিযানে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই দেলোয়ার হোসেন ও এস আই আব্দুস সালাম সহায়তা করেন।