প্রচ্ছদ সারাদেশ ঢাকা বিভাগ হরিরামপুরে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসারের অবৈধ চাঁদাবাজি

হরিরামপুরে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসারের অবৈধ চাঁদাবাজি

সায়েম খান, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলায় বেশ কিছুদিন হয় চালু হয়েছে নতুন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন। নতুন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন হতে না হতেই চাঁদাবাজি শুরু করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন ইনচার্জ বিজন বিশ্বাস। উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন ইনচার্জ বিজন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।

গত মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দুপুর ২ টার দিকে জেলা সদর উপজেলার বালিরটেক বাজারের বিভিন্ন দোকান থেকে মোবাইল কোর্টের কথা বলে চাঁদা আদায়ের সময়ে দোকানদাররা তাকে আটক করে। জানা যায়, বাজারের দোকানদারদের কাছে চাঁদা দাবি করলে বিজন বিশ্বাসের সাথে দোকানদারদের কথা কাটাকাটি হয়।

এ সময়ে এক দোকানদারদের সন্দেহ হলে তারা ৯৯৯ এ কল দিয়ে মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্তব্যরত অফিসারের সাথে কথা বলে জানতে পারেন, সদর থেকে কাউকে এমন কাজের জন্য পাঠানো হয়নি। পরে স্থানীয়রা বিজন বিশ্বাসকে আটক করে রাখে।

আটকের খবর পেয়ে মানিকগঞ্জ সদর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক শরিফুল ইসলাম বালিরটেকস্থ ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে উপস্থিত সকলের নিকট এমন কাজের জন্য সকলের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং বিজন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে ছাড়িয়ে হরিরামপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে নিয়ে আসেন। এছাড়াও, শুধু বালিরটেক বাজার থেকেই নয়, হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা, আন্ধারমানিক, সাকুচিয়া, বলড়া, পিপুলিয়া, কান্ঠাপাড়া, দানিস্তপুর, কোকরহাটির বিভিন্ন দোকান থেকে দোকান প্রতি কমপক্ষে ৫০০ থেকে ১৫০০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবসায়ীরা তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি এবং হুমকির অভিযোগ দিয়েছেন। সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবসায়ী তামিম খান জানান, বিজন বিশ্বাস তার কাছ থেকেও ১৫ হাজার টাকা আদায় করেছেন। বিপরীতে একটি ভিজিটিং কার্ডে হাতে লেখা একটি নোট প্রদান করে মোবাইল কোর্টের অভিযানে ম্যাজিট্রেট আসলে তা প্রদর্শন করতে বলেন বলেও তিনি জানান।

এ বিষয়ে বিজন বিশ্বাসের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজী হননি। এদিকে উপসহকারী পরিচালক শরীফুল ইসলামের সাথে কথা বলতে গেলে সাংবাদিকদের সাথে কথা না বলে দ্রুত গাড়ী নিয়ে হরিরামপুর স্টেশন ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে মুঠোফোনে তিনি জানান, বিজন বিশ্বাসের চাঁদাবাজির সত্যতা পেয়েছেন এবং বিভাগীয়ভাবে ব্যবস্থা নেয়ার হবে।