প্রচ্ছদ সারাদেশ হরিরামপুরে ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে দিশেহারা কৃষকেরা

হরিরামপুরে ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে দিশেহারা কৃষকেরা

সায়েম খান, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার সরিষাসহ অন্যান্য রবি শস্যের ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা বর্ষণে মারাত্মক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি আর বাতাসের কারণে দুর্গম চরাঞ্চলসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সদ্য বেড়ে উঠা প্রায় এক ফুট উচু সরিষা গাছগুলো মাটিতে ন্যূয়ে পড়েছে। অনেক এলাকার কিছু কিছু জমিতে নব্য ফোটা সরিষার ফুলও ঝরে পরেছে। ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছে উপজেলার শতশত কৃষক।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে এ উপজেলায় ৩৩৭৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। গত শনিবার রাত থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিসহ টানা বর্ষণে উপজেলার চরাঞ্চলের লেছড়াগঞ্জ, আজিমনগর ও সুতালড়ি ইউনিয়নসহ অনেক এলাকার জমির সরিষা গাছ নুয়ে পরেছে এবং পাশাপাশি অনেক জমিতে সদ্য ফোটা ফুলও ঝরে পরেছে।

উপজেলার চরাঞ্চলের আজিমনগর ইউনিয়নের বসন্তপুরের গ্রামের জামাল বলেন , “কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সরিষা ক্ষেতের অধিকাংশ সরিষা গাছই মাটিতে শুয়ে পরেছে এবং ক্ষেতে পানিও জমে গেছে। এর ফলে এবছর সরিষার মারাত্মকভাবে ক্ষতি হবে।

সুতালড়ীর হাকিম জানান, “আমি দুই বিঘা সরিষার চাষ করছি। কিন্তু বৃষ্টির কারণ গাছগুলো শুয়ে পড়েছে। অনেক ক্ষেতে পানি ও জমে গেছে। গাছ উঠে দাঁড়াতে না পারলে গাছ পচে যাবে।” চরাঞ্চলের লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের হালিম মেম্বার বলেন , আমি তিন বিঘা জমিতে সরিষা বুনেছি। টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে সরিষা গাছ শুয়ে পড়েছে এবং ফুলও ঝরে গেছে। ফলে সরিষার আবাদে এবার আমরা পুরাই ধরাশায়ী।” বাল্লা ইউনিয়নের ঝিটকা উজানপাড়া গ্রামের শাজাহান জানান, “টানা বৃষ্টিতে ক্ষেতে পানি জমে গেছে। ড্রেন কেটেও পানি বের করতে পারছি না। ফলে শুয়ে পড়া গাছ পচে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ফলন যে কি হয় এখন বলা মুশকিল।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গফ্ফার বলেন, ‘হরিরামপুর উপজেলায় এ বছর ৩৩৭৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় নিচু জমির সরিষা গাছ ন্যূয়ে পড়ায় পানিতে ডুবে গেছে বলে শুনতে পারলাম। তবে ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা যাচ্ছে না।