প্রচ্ছদ সারাদেশ হরিরামপুরে ঘরে ঘরে চলছে বিল্লাল হোসেনের উপহার সামগ্রী বিতরণ

হরিরামপুরে ঘরে ঘরে চলছে বিল্লাল হোসেনের উপহার সামগ্রী বিতরণ

জ. ই. আকাশ :
‘মানুষ মানুষমানুষের জন্য’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত লকডাউনে কর্মহীন হতদরিদ্র মানুষের ঘরে ঘরে উপহার সামগ্রী স্বরূপ খাদ্য সামগ্রী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনিবাহী সদস্য মো. বিল্লাল হোসেন।
প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এ কাজের জন্য তরুণদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে একটি সেচ্ছাসেবী টিম। আর এ টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন তার বাবা শেখ আব্দুস সামাদ ও ছোট ভাই তুষার।
শুক্রবার (৮ মে) উপজেলার বয়ড়া ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের প্রায় ৮০০ পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়। সকাল থেকেই সেচ্ছাসেবীরা ভ্যান/রিক্সা যোগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেন। বিকালে এ কাজে যোগ দেন মো. বিল্লাল হোসেন।
বিশ্ব মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ সারাদেশে সাধারণ ছুটি ও গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে কর্মহীন হয়ে পড়ে অধিকাংশ মানুষ। তখন থেকেই নিজ গ্রামসহ সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান বিল্লাল হোসেন। প্রথমে করোনাভাইরাস সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হরিরামপুরে মাক্স ও লিফলেট বিতরণের মধ্য দিয়ে তিনি এ কার্যক্রম চালু করেন।
এরপর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য খাদ্য সামগ্রী নিয়ে পৌঁছে যান তাদের বাড়ি বাড়ি। শুরু থেকে তার বাবা ও ছোট ভাই এ কাজ করলেও পরে এলাকার তরুণরা এ কাজে যোগদান করেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নের ১১৭টি ওয়ার্ডে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, দলীয় নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকদের মাধ্যমেও খাদ্য সামগ্রী পাঠান এই নেতা। কোনো কোনো জায়গায় একাধিকবারও খাদ্য সামগ্রী পাঠানো বলে আলাপচারিতায় তিনি প্রকাশ করেন। এছাড়াও অনেকে আবার বাড়িতে এসেও বারবার খাদ্য সামগ্রী নিয়ে যান।
বিল্লাল হোসেনের বাবা শেখ আব্দুস সামাদ বলেন, “আমার বাড়িতে যদি চুলা জ্বলে, তাহলে করোনাভাইরাসের কারণে যারা কর্মহীন হয়ে অনাহারে থাকবেন, তাদের বাড়িতেও চুলা জ্বলবে।”
বাবার কথা মতোই বিল্লাল হোসেন প্রতিদিনই খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। তিনি আরও জানান, বাবার নির্দেশ মোতাবেক মানুষের পাশে আছি, থাকব। যতদিন এই দুর্যোগ থাকবে, ততোদিনই আমার সহায়তা অব্যহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
সেচ্ছাসেবী টিমকে আমি বলে দিয়েছি, অনেকেই আছেন, যারা কাউকে বলতে পারবেন না, কিন্তু তারা সমস্যায় রয়েছেন। এরকম কেউ যেন বাদ না পড়েন এই খাদ্য সামগ্রী থেকে । প্রতিটি বাড়িতেই যেন খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়। আর এটাকে যেন ত্রাণ বলা না হয়। এটা এলাকাবাসীর প্রতি আমার যতসামান্য উপহার সামগ্রী ।