পরীক্ষায় নকল করতে না দেয়ায় পাবনার শহীদ বুলবুল সরকারি কলেজের শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় সজল ইসলাম ও সাফিন নামের দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে সজল কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র এবং সাফিন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
বৃহস্পতিবার ভোরে নিজ নিজ বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে বলে নিশ্চিত করেছেন পাবনা সদর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) আসাদুজ্জামান।
এর আগে, পরীক্ষায় নকল করতে না দেয়ায় ওই শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠে কয়েকজন ছাত্রের বিরুদ্ধে। কলেজের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, কলেজ গেট থেকে মোটরসাইকেলে করে বের হওয়ার সময় কয়েকজন যুবক এসে অতর্কিত হামলা চালায় শিক্ষক মাসুদুর রাহমানের উপর। তাকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি ও থাপ্পড় মারা হয়। ফেলে দেয়া হয় মাথার পাগড়িও। একপর্যায়ে তিনি বেরিয়ে যেতে চাইলে পেছন থেকে এসে তাকে লাথি মারে এক যুবক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই ঘটনার সিসিটিভির ফুটেজ ভাইরাল হওয়ার সমালোচনার ঝড় উঠে।
পরে বুধবার রাতে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে সজল ইসলাম ও সাফিনসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
তবে লাঞ্ছিত শিক্ষক মো. মাসুদুর রহমান দাবি করেছেন, ঘটনার মূল নায়ক সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শামসুদ্দিন আহমেদ জন্নুনকে মামলায় আসামি করা হয়নি।
এদিকে, বুধবার রাতে পাবনা জেলা শাখার বিসিএস শিক্ষক সমিতি শহীদ বুলবুল কলেজে জরুরি প্রতিবাদ সভা করেন। সভায় এ ঘটনায় মামলা ও বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় জেলা প্রেস ক্লাবের সামনে আসামিদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।