প্রচ্ছদ সারাদেশ সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীদের চাকুরী রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবী

সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীদের চাকুরী রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবী

স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ :

সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীদের চাকুরী রাজস্বখাতে স্থানান্তরসহ পাঁচ দফা দাবীতে মানিকগঞ্জে মানববন্ধন করেছেন জেলার সরকারী কলেজের বেসরকারী কর্মচারীরা।

আজ (শনিবার)সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ প্রাঙ্গনে বেসরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতি মানিকগঞ্জ জেলা শাখা কর্তৃক আয়োজিত এই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান ও নারী বিষয়ক সম্পাদক সুমাইয়া ইসলাম।

সংগঠনটির সভাপতি এবং সরকারী দেবেন্দ্র কলেজের কম্পিউটার-অপারেটর মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, ‘মানিকগঞ্জে চারটি সরকারী কলেজে মোট ১৪৫ জন কর্মচারী রয়েছেন। এদেরে মধ্যে ৩১জন সরকারী এবং ১১৪ জন বেসরকারী। সরকারী দেবেন্দ্র কলেজে সরকারী কর্মচারী ১২ জন এবং বেসরকারী ৬৬জন, সরকারী মহিলা কলেজে সরকারী কর্মচারী নয় জন এবং বেসরকারী ২১জন, ঘিওর সরকারী কলেজে সরকারী কর্মচারী আট জন এবং বেসরকারী ১১জন এবং দরগ্রাম সরকারী ভিকু মোমিরিয়াল ডিগ্রী কলেজে সরকারী কর্মচারী দুইজন ও বেসরকারী কর্মচারী ১৬জন। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সরকারী কর্মচারীরা রাজস্ব খাত ধেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা, পেনশনসহ অন্যান্য সুবিধাদি পেলেও বেসরকারী কর্মচারীরা নানাভাবে বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছেন।

তিনি বলেন, সরকারী কর্মচারীরা চাকুরী শেষে ৪০ লাখ থেকে ৬০ লাখ টাকা নিয়ে অবসরে যাচ্ছেন। অথচ, একই পদে চাকুরী করে বেসরকারী কর্মাচারীরা শুণ্য হাতে অবসরে যাচ্ছেন। এছাড়া, সরকারী কর্মচারীরা যেখানে মাসে ১৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেতন পাচ্ছেন, সেখানে বেসরকারী কর্মচারীরা পাচ্ছেন ক্ষেত্র বিশেষে চার হাজার থেকে ১১ হাজার টাকা। যেসব পদে বেসরকারী কর্মচারীরা বর্তমানে কর্মরত আছেন, সেসব পদে সরকারী কর্মচারী নিয়োগ দিলে বেসরকারী কর্মচারীদের চাকুরী হারানোর আশংকা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অতীতে অনেক বেসরকারী কর্মচারীরা চাকুরীশেষে শুণ্যহাতে অবসরে গিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বর্তমানে অনেকের চাকুরীর বয়স ২৫-৩০ বছর হয়ে গেছে। এখনই তাঁদের চাকুরী রাজস্বখাতে স্থানান্তর করা না হলে তাঁরাও একই পরিস্থতির সম্মুখীন হবেন।

একারণে, বেসরকারী কর্মচারীরা সরকারি কলেজে নিয়োগপ্রাপ্ত বেসরকারি কর্মচারিদেরকে নিয়োগের তারিখ হতে চাকুরী সরকারিকরণ, চাকুরী সরকারী হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত স্ব-পদের বেতন ভাতাদি সরকারী স্কেল অনুযায়ী দেয়ার ব্যবস্থা, চলমান বেসরকারী চাকুরী সরকারী না হওয়া পর্যন্ত নতুন নিয়োগ বন্ধ রাখা, নতুন পদ সৃষ্টি করে স্ব-স্ব পদে নিয়োগ দেওয়া এবং কর্মরতদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের কোন উর্ধ্বসীমা করা যাবে না-মর্মে দাবী পূরণের লক্ষ্যে মানবন্ধন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কণ্যা এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার শিক্ষাক্ষেত্রের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে বেসরকারী কর্মচারীদের চাকুরী রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবী করেন।