প্রচ্ছদ সারাদেশ শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

শেরপুর

শেরপুর :

শেরপুর-জামালপুর সড়কের ব্রহ্মপুত্র ব্রিজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার দশমিক সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদে পানি না বাড়লেও জেলার মৃগী ও দশানী নদীর পানি কিছুটা বেড়েছে। ফলে শেরপুর জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।

এ পর্যন্ত জেলার শেরপুর সদর, শ্রীবরদী ও নকলা উপজেলার আরও ১৫টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এতে ১০টি ইউনিয়নের ৫০ গ্রামের প্রায় ১৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। শেরপুর-জামালপুর সড়কের পোড়ার দোকান ও শিমুলতলী এলাকার কজওয়ে দুটি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় চারদিন থেকে শেরপুর-ঢাকা এবং উত্তরবঙ্গের সঙ্গে এ পথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।

বন্যার কারণে ব্রহ্মপুত্র নদে ভাঙনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে নকলা উপজেলার চরঅষ্টধর ইউনিয়নের দক্ষিণ নারায়ণখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ শাতাধিক পরিবারের বসত বাড়ি। পানি কমার সময় নতুন করে ভাঙন শুরু হলে স্কুলটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

মৎস্য চাষিরা জানিয়েছে, বন্যায় তাদের অন্তত পাঁচ কোটি টাকার মাছ, পোনা মাছ ভেসে গেছে ও অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে।

দুর্গতদের জন্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৮৫ মেট্রিক টন চাল ও এক লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনও চিকিৎসাসেবা ও আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়নি। জেলায় ত্রাণ তৎপরতা অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষ।

শেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা জানান, উজান থেকে নেমে আসা পানিতে সৃষ্ট বন্যায় উপজেলার দুইশত ৮০ হেক্টর রোপা আমন বীজতলা, আউশ ধানের ক্ষেত, সবজি ও পাটের আবাদ বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে।

এদিকে শেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সরকার দলীয় হুইপ মো. আতিউর রহমান বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে দুর্গত এলাকায় দুই মেট্রিক টন চাল বিতরণ করেছেন।