প্রচ্ছদ সারাদেশ শরীয়তপুরে আ’লীগের ২ গ্রুপে সংঘর্ষ : গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত, আহত ২০

শরীয়তপুরে আ’লীগের ২ গ্রুপে সংঘর্ষ : গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত, আহত ২০

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

শরীয়তপুরের জাজিরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে রিয়াজ মাদবর (১৮) নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো সাতজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জাজিরা উপজেলার সেনেরচর ইউনিয়নের চর ধীপুর সাকিমালী মাদবর কান্দি (বালিয়া কান্দি) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেনেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন মোল্ল্যা।

জাজিরা থানার ওসি আজাহারুল ইসলাম ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাজিরা উপজেলার সেনের চর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সমর্থক মন্টু বেপারী এবং এমদাদ মাদবর ও করিম মাষ্টার গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। শনিবার মন্টু বেপারীর লোকজন এবং করিম মাদবর ও এমদাদ মাদবরের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে বাড়ি থেকে লাইন্সেস করা শটগান নিয়ে মন্টু বেপারী ও হারুন বেপারী এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ে। এতে রিয়াজ মাদবর ঘটনাস্থালে নিহত হন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়।

এ সময় আরো সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়। এরা হলেন, আবুল বাশার বেপারী (২০), ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রাজ্জাক মাদবর (২৮), সিমা আক্তার (২৫), তানজিল মাদবর (২৮), দেলোয়ার মাদবর (২৬), আশা মাদবর (৩৮) ও ইয়ার হোসেন। তারাসহ ২০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় আবুল বাশার বেপারী, তানজিল মাদবর ও দেলোয়ার মাদবরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে স্থানীয় চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন মোল্ল্যা জানান। বাকি আহতদের জাজিরা উপজেলাসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে করিম মাষ্টার জানান, মন্টু বেপারী ও তার লোকজন আমার সমর্থকদের উপর এলোপাথাড়ি গুলি করে। এতে রিয়াজ মাদবর ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আরো ১০/১২ গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হয়েছে।

এ ব্যাপারে মন্টু বেপারীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে জাজিরা থানার ওসি আজাহারুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের দুগ্রুপের বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষ হয়। এতে করিম মাষ্টার গ্রুপের একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। আরো ৭/৮জন গুলিবিদ্ধ হয়।

দু গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।