প্রচ্ছদ হেড লাইন লকডাউন হবে না, খোলা থাকবে সরকারি অফিস

লকডাউন হবে না, খোলা থাকবে সরকারি অফিস

এনইসি সভায় করোনাভাইরাস বিষয়ে হওয়া আলোচনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে সরকারি অফিস বন্ধ করা হবে না। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সাবধানে থেকে কাজকর্ম করবেন। অপ্রয়োজনীয় সভা-সেমিনার বন্ধ হলেও মন্ত্রিসভা ও একনেক বৈঠক চলবে। দেশের অভ্যন্তরে কোনো জায়গা লকডাউন (বিচ্ছিন্ন) করা হবে না। তবে ধীরে ধীরে কড়াকড়ি আরোপ (টাইটেনিং) করা হবে।’

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভার শুরুতে প্রায় এক ঘণ্টা করোনা বিষয়ে আলোচনা হয়। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এসব কথা বলেন।

সরকারি অফিস বন্ধের সিদ্ধান্ত আছে কি না? জবাবে তিনি বলেন, ‘না। আমরা কাজও করব, সুরক্ষাও দেব– এ হলো আমাদের নীতি। করোনার কারণে আমরা আমাদের কাজ থেকে পিছপা হবো না। করোনা মোকাবিলা করব সামনে থেকে, কাজও পুরোপুরি আমরা করব।’

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘কোনো কোনো মহল বলেছে, আমরা যেন এই মুহূর্তে মিটিং কমিয়ে দিই। হ্যাঁ, আমরা অপ্রয়োজনীয় মিটিং করব না। যেমন একনেক সভা, কেবিনেট সভা করতেই হবে। এগুলো বন্ধ উনি (প্রধানমন্ত্রী) করবেন না। আর যদি ছোটখাটো কোনো সভা থাকে, আমি আমার দায়িত্বে বন্ধ করতে পারি।’

লকডাউনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘লকডাউন করে প্যানিক সৃষ্টি করার মতো পরিস্থিতি আমাদের হয়নি। আমাদের জনগণ সংখ্যায় বেশি। আমাদের জনগণ লকডাউনে অভ্যস্ত নয়। অনেক সুশৃঙ্খল দেশ আছে সরকার যা অর্ডার দেয়, মেনে নেয় বিনা প্রশ্নে। সুতরাং সেসব দেশের সঙ্গে আমাদের তুলনা করা ঠিক হবে না। তবে লকডাউন নয়, পর্যায়ক্রমে টাইটেনিং (কড়াকড়ি) করার চেষ্টা করব।’

করোনার প্রভাবে সার্বিকভাবে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই সার্বিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। যেমন ধরুন, বাংলাদেশ বিমানের আয় কমে যাবে। রেল, বাস, স্কুলের আয় কমে যাচ্ছে। কোথায় না কমছে। এর প্রভাব আমাদের জাতীয় আয়ের ওপর পড়বে।’

এরকম পরিস্থিতিতে কৃষিপ্রধান দেশ হওয়ায় বাংলাদেশিরা ভাগ্যবান বলেও মন্তব্য করেন এম এ মান্নান। তিনি বলেন, ‘বাজারে সাপ্লাই কমে আসবে। আপনি হয়তো এক বা দুই মাস পরে তিনবেলা না খেলেও দুইবেলা খাবেন। আপনি ভাগ্যবান যে একটা কৃষি পর্যায়ের দেশে বাস করছেন। কুমিল্লা, বগুড়া থেকে সবজি চলে আসবে। আমরা তো মা-চাচিদের কাছ থেকে লাউ-কুমড়া এনে দু-বেলা খেতে পারব। অনেক দেশ আছে, রাত পোহালেই বিমানে সবজি নিয়ে নামে। প্রতিদিন সকালে বিমানে সবজি, দুধ, মাখন, পাউরুটি নিয়ে নামে সুইজারল্যান্ডে। তাদের তো এগুলো নেই। তাদের তো পানি আসে বাইরে থেকে, এমন দেশও আছে।’