প্রচ্ছদ বিশেষ প্রতিবেদন লকডাউন ও বাস্তবতা

লকডাউন ও বাস্তবতা

শরিফুল ইসলামঃ সাম্প্রতিক কালে করনার ভয়াল রুপ ভেরিয়েন্ট ছরিয়ে পরেছে সারা দেশে। সাধারণ ভাবেই বুঝতে পারা যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ভয়াল রুপের দিকেই আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। ভারতে যখন ভয়াবহ অবস্থা চলছিলো, তখন আমরা মিডিয়ায় দেখেছি কতটা অসহায় হয়ে পরেছিলো দিল্লি। এর পরেও অনেকেই ভারত থেকে নিয়ম-কানুনের বালাই না মেনে নির্বিঘ্নে ঢুকে পরে বাংলাদেশে। সীমান্তবর্তী একা সমূহ দিনকে দিন নাজুক পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি আরো ভয়ানক রুপ নেয়ার সম্ভাবনা বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যেই অনেক হাসপাতালে অক্সিজেনের সংকটের সংবাদ গণমাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি। অত্যন্ত হতাশ হই, যখন দেখি জনগোষ্ঠীর একটা অংশ এখনো করনার ব্যাপারে উদাসীন। মাস্ক ব্যবহার, হাত ধোয়া, দূরত্ব বজায় রাখা, জনসমাগম এরিয়ে চলা ইত্যাদি ব্যাপার গুলোতে অনেকেই এখনো গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হওয়ার আগেই সরকার লকডাউনের মাধ্যমে সংক্রমণ কমিয়ে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞ ও ওয়াল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের মতে, সংক্রমণ কমিয়ে আনতে স্বাস্থ বিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। সেই স্বাস্থ বিধি মানাতেই সরকার থেকে এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এছাড়া আপাতত কোন পথ নেই। কিন্তু এদেশের বাস্তবতায় লকডাউন একটা বড় অংশ জনগোষ্ঠীর জন্য ক্ষুধা আর জীবন ধারনের প্রতিবন্ধকতার কারণ। দিন এনে দিন খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ চরমে।
এদের সাহায্যে সরকার ৩৩৩ জরুরী খাদ্য সহায়তা সেল খুলেছে। অনেকেই এখান থেকে খাদ্য সহায়তা পেয়েছে আবার অনেকেই কিছু ভুল বোঝা-বুঝির জন্য উল্টো বিপদে পরেছেন। তবে, এব্যাপারে সরকারের ভূমিকা প্রশংসনীয়। কিন্তু উচ্চবিত্ত নিরব কেন? এখন পর্যন্ত তেমন কোন কোটিপতির উজার করে দেয়া সাহায্য, যা সমাজের ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারে, তেমনটা দেখিনি।
আসলে এই সিচুয়েশনে লকডাউন যতই কষ্টের হোক, বাস্তবতা হচ্ছে মানতেই হবে। সাথে ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে আহার তুলে দিতে সকলের একসাথে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
লেখক-
সাধারণ সম্পাদক
প্রচেষ্টা