সিয়াম সাধনার মাস, সংযমের মাস রমজান। সারা বিশ্বের কোটি মুসলমান সিয়াম সাধনা পালন করেন। তবে প্রতি রোজার মাস ঘিরেই বাংলাদেশের একধরনের অসাধু ব্যবসায়ীরা মেতে উঠেন রমরমা ব্যবসায়। বাড়িয়ে দেন দাম।
তবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে কমে পণ্যের দাম। রমজান মাস উপলক্ষে বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারের কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থার পরও লাগামহীনভাবে দাম বেড়েই চলেছে প্রতিটি পণ্যের।
বেশিরভাগ ব্যবসায়ী রমজান মাসকে তাদের মুনাফা আদায়ের মাস মনে করেন।
তবে বাংলাদেশের বাজারের চিত্র এমন হলেও ব্রিটেনে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। বাঙালি, পাকিস্তানি, ভারতীয় গ্রোসারি শপ ও মাছ-মাংসের বাজারে রমজান উপলক্ষে প্রতিবারই ঘোষণা দেওয়া হয় বিশেষ ছাড়সহ নানা অফারের। এবারের রমজানও তার ব্যতিক্রম নয়।
এমনকি বহুজাতিক ব্যান্ড টেসকে, আজদা’র মতো বড় প্রতিষ্ঠানগুলোও পবিত্র রমজান উপলক্ষে ছোলা, বুট, চাল, জুসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীতে বিভিন্ন অফার ও ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে। লন্ডন ও লন্ডনের বাইরে টেককো ও আজদার বড় স্টোরগুলোতে রীতিমত রোজা উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে আলাদা তাক। সেখানে স্বাভাবিক মূল্যের চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে ইফতার ও সেহরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন নিত্যপণ্য।
ক্রয়োডন এলাকার ব্রিকস্টক রোডের বাসিন্দা ফয়সল রহমান জানান, আমরা বাংলাদেশের মানুষ। রোজায় দেশে বরাবরই দেখি জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। কিন্তু আমার গত প্রায় বিশ বছরের লন্ডন প্রবাসী জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি ভিন্ন চিত্র। এরা ভিন্ন ধর্মের অনুসারী হলেও রোজায় নিত্যপণ্যের দাম কম রাখে। বাই টু গেট ওয়ান ফ্রি বা বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রির মতো অফারও থাকে।
একই চিত্র থাকে ক্রিসমাসের মতো উৎসবেও। সেখানেও আমরা দেখি বছরের সর্বনিম্ন দামে পণ্য বা কাপড়চোপড় বিক্রি হতে।
শুধু লন্ডনে নয়, বিশ্বের আরও অনেক দেশে রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপণ্যের দাম কমে। সেইসাথে পবিত্র মাসে রোজাদারদের কল্যাণে আরও অনেক উদ্যোগ নিতে দেখা যায় ব্যবসায়ীদের।