ভারতের গুজরাট এলাকাটি মেদির রাজ্য বলে সমাধিক পরিচিত। কেননা ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি দীর্ঘদিন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখনও এ রাজ্যটি তার দল বিজেপির দখলে। এখানে বরাবরই সক্রিয় ভারতের কট্টরপন্থি হিন্দু দলগুলো। আর সেই রাজ্যের ৯ শতাধিক মানুষ ধর্ম বদলাতে চায়, যাদের অধিকাংশই আবার হিন্দু।
ধর্ম পরিবর্তনের জন্য প্রচুর আবেদন জমা পড়েছে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির সচিবালয়ে। এই কথা তিনি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে স্বীকারও করেছেন।
গুজরাট রাজ্যে ধর্ম বদলাতে চায় মোট ৯১১ জন। এদের মধ্যে ৮৬৩ জন হিন্দু এবং ৩৫ জন মুসলিম।
গুজরাটের বাজেট অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে কংগ্রেস বিধায়কের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ৯১১ জনের মধ্যে ৬৮৯ জনকে ইতিমধ্যেই অনুমতি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখানকার নাগরিকরা গত দু’বছরে (৩১ মে, ২০১৯ পর্যন্ত) ধর্মান্তরিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এই ৯১১ জন আবেদনকারীর মধ্যে ৮৬৩ জন হিন্দু, ৩৫ জন মুসলিম, ১১ জন খৃষ্টান, খোজা ১ জন এবং বৌদ্ধ ধর্মের ১ জন।
এই বিপুল সংখ্যক হিন্দু সুরাট, জুনাগড় এবং আনন্দ জেলার বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। তবে কেন তারা ধর্ম পরিবর্তন করতে চাইছেন তা জানাননি তিনি। গুজরাটে ধর্মীয় স্বাধীনতা আইন অনুযায়ী এই ধর্ম পরিবর্তন করা যায়। এখানে এখন তাই হচ্ছে।
কিন্তু হিন্দু সংখ্রাগিরিষ্ঠ এবং বিজেপি শাসিত এই রাজ্যের হিন্দুদের ধর্মান্তরিত হওয়ার খবরে অবাক হচ্ছেন অনেকেই।