প্রচ্ছদ হেড লাইন মামুনুলসহ ১৭ হেফাজত নেতার মামলার প্রতিবেদন ২৭ মে

মামুনুলসহ ১৭ হেফাজত নেতার মামলার প্রতিবেদন ২৭ মে

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় নাশকতার দায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামী ২৭ মের মধ্যেএ মামলার প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল মামলার এজাহার গ্রহণ করে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিলের এই দিন ধার্য করেন।

গেল সোমবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করেন ওয়ারী এলাকার ব্যবসায়ী খন্দকার আরিফ-উজ-জানান।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিব, লোকমান হাকিম ও নাসির উদ্দিন মনির, নায়েবে আমির বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, অর্থ সম্পাদক মুফতি মনির হোসাইন কাশেমী, প্রচার সম্পাদক যাকারিয়া নোমান ফয়েজী, ছাত্র ও যুব সম্পদিক হাফেজ মো. জোবায়ের, দপ্তর সম্পাদক হাফেজ মো. তৈয়ব ও সহকারী দাওয়াহ সম্পাদক মুশতাকুন্নবী; মাখজান, ঢাকার নুরুল ইসলাম জেহাদী; ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার নায়েবের আমির মাজেদুর রহমান; লালবাগ, ঢাকার হাবিবুর রহমান, খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়্যুবী ও জসিম উদ্দিন; টঙ্গী শাখার সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুল করিম; এবং মোহাম্মদপুরের ঢাকার ফয়সাল আহমেদ।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৬ মার্চ বাদী বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ পড়তে যান। ফরজ নামাজ শেষে তিনি মসজিদের ভেতরে কিছু উশৃঙ্খল ধর্মান্ধ ব্যক্তিদের জুতা প্রদর্শনসহ নানা ধরনের রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দিতে দেখেন। ওই অবস্থায় দুপুর দেড়টার দিকে জুমার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হলে তিনি উত্তর গেটের সিঁড়িতে কয়েক হাজার জামায়াত-শিবির-বিএনপি-হেফাজতের উগ্র মৌলবাদী ব্যক্তিদের উশৃঙ্খল জমায়েত দেখতে পান। হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বে শীর্ষস্থানীয় জামায়াত-শিবির-বিএনপি-হেফাজত নেতারা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে দেশি-বিদেশি সরকারপ্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধানদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিকে বানচাল করার ও ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র করে। ওই জমায়েত থেকে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী নানা জঙ্গি স্লোগান দিতে থাকে।

হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের প্রত্যক্ষ নির্দেশে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে ওই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের নিমিত্তে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ দা, ছোরা, কুড়াল, কিরিচ, হাতুড়ি, তলোয়ার, বাঁশ, গজারী লাঠি, শাবল ও পাইপগানসহ অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত আমিসহ অন্যান্য সাধারণ মুসল্লিদের ওপর হামলা করে।

 এজাহারে বাদী আরও বলেন, মামলার বাদীকে লক্ষ্য করে মামুনুল হকের প্রত্যক্ষ হুকুমে হেফাজত নেতা মওলানা জুনায়েদ আল হাবিব লোহার রড দিয়ে মাথা লক্ষ্য করে বাড়ি দেন। এসময় তিনি সরে গেলে ডান পায়ের হাঁটুর নিচে বড় রড দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন।