প্রচ্ছদ সারাদেশ মানিকগঞ্জ থেকে শুভ সূচনা হলো ‘কৃষকবন্ধু ডাক সেবা ‘

মানিকগঞ্জ থেকে শুভ সূচনা হলো ‘কৃষকবন্ধু ডাক সেবা ‘

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনে প্রান্তিক কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য রাজধানী ঢাকায় পাইকারি বাজারে বিনা মাশুলে পৌঁছে দিতে ‘কৃষক বন্ধু ডাক সেবা’ নামে একটি সার্ভিস চালু করেছে ডাক অধিদফতর।

প্রাথমিকভাবে মানিকগঞ্জ জেলার কৃষকদের উৎপাদিত শাকসবজি বিনা মাশুলে পরিবহনের মধ্য দিয়ে এই সেবাটি চালু করা হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ঢাকায় বেইলী রোডে তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শনিবার সকালে মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা বাজার থেকে কৃষকবন্ধু ডাক সেবার উদ্বোধন করেন।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে ঝিটকা বাজার প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাক বিভাগের পরিচালক এসএম হারুনুর রশিদ, হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জহিরুল হক, বাংলাদেশ কৃষক লীগ প্রতিনিধি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ কৃষিপণ্য উৎপাদনকারি কৃষক প্রতিনিধিবৃন্দ।

এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অনলাইন বক্তৃতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, এই সেবার আওতায় ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে কৃষক ঘরে বসেই তার বিক্রয়লব্ধ পণ্যের টাকা পেয়ে যাবেন। এর ফলে কোনো মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবেন। দেশব্যাপী ডাক পরিবহনে ব্যবহৃত রাজধানী ফেরৎ ডাক অধিদফতরের গাড়ীগুলো কৃষকের উৎপাদিত পণ্য পরিবহনে ব্যবহার করা হবে। এতে সরকারের অতিরিক্ত কোনো খরচেরও প্রয়োজন হবে না। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এই সেবা চালু করা হবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব নূর-উর-রহমান এবং ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র এই সময় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে সংযুক্ত ছিলেন।


মন্ত্রী কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বিভিন্ন দিকনির্দেশনা মূলক বক্তৃতার উদ্ধৃতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের কৃষি উৎপাদনকে সচল ও সজিব রাখতে এবং কৃষি উৎপাদনের মধ্য দিয়ে দেশে যাতে খাদ্য সংকট না হয় সেজন্য কৃষিখাতের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। ডাক বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা এই অভিপ্রায় বাস্তবায়নে ভুমিকা রাখতে চাই।

আমরা উপলব্ধি করছি যে, লকডাউনে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য নিয়ে কৃষক সবচেয়ে বেশী বিপন্ন অবস্থায় আছে। কৃষক পন্য উৎপাদন করছে কিন্তু এই পণ্য বাজারজাত করতে পারছেন না। শাকসবজি পচনশীল পণ্য দীর্ঘ দিন ধরেও রাখা যায় না। প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের বিদ্যমান সংকটে বিনা মাশুলে রাজধানী ঢাকায় পণ্য পৌঁছে দিয়ে তাদের পাশে থাকার আমরা চেষ্টা করছি।

ঝিটকা বাজার থেকে ফ্রি সার্ভিসের আওতায় প্রথম দিন ১২০০ কেজি পিয়াজ, ৬০ কেজি কাঁচামরিচ, ৮০ কেজি বেগুন, ৬০ কেজি করলা, ৬০ কেজি চিচিংগা, ৬০ কেজি ঝিংগা, ৬০ কেজি জিংগা, ৬০ কেজি ঢেঁড়স, ১২০ কেজি শসা এবং ১৮০টি মিষ্টি কুমড়া নিয়ে কৃষক বন্ধু ডাক সেবার গাড়ী ঢাকার উদ্দেশ্যে সকাল ১০ টায় যাত্রা শুরু করে। এই সব কৃষিপণ্য গাবতলী কৃষিবাজার এবং মিনাবাজার ধানমন্ডিতে পৌছে দেয়া হবে। মিনাবাজার, চালডাল এবং পার্কিং বাজার কৃষকদের এই সব পন্য ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে সরাসরি ক্রয় করছে।