প্রচ্ছদ সারাদেশ মানিকগঞ্জে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়ীতে প্রেমিকার ভাংচুর, তান্ডবের অভিযোগ

মানিকগঞ্জে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়ীতে প্রেমিকার ভাংচুর, তান্ডবের অভিযোগ

এ এস এম আহসান উল্লাহ, ষ্টাফ রিপোর্টার :

মানিকগেঞ্জ বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রবেশ করে প্রেমিককে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে কানিজ ফাতেমা (২৬) নামের এক যুবতীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) বিকেলে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গঙ্গাধরপট্টির বাসিন্দা সামিউল হাসান রুপম (৩১) এর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগীর সাথে অভিযুক্ত কানিজ ফাতেমা (২৬) এর সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয় ৩ বছর আগে এবং সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে কানিজ ফাতেমার আগ্রহে গত ১ বৎসর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ঘনিষ্টতার সৃষ্টি হয়। অপরদিকে সামিউল হাসান বিবাহিত হওয়ার সুবাদে তার স্ত্রী ও বাবা মা বিষয়টি জানতে পারলে সামিলউ হাসানকে কানিজ ফাতেমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করতে চাপ প্রয়োগ করলে সে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। সামিলউ হাসান কানিজ ফাতেমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করার কিছুদিন পর কানিজ ফাতেমা অন্যত্র বিবাহ হয়ে যায়। কিন্ত কানিজ ফাতেমার সেই স্বামী সামিউল হাসানের সাথে কানিজ ফাতেমার পরকিয়া প্রেমে ছিল জানতে পেরে পারিবারিক শালিশির মাধ্যমে বিয়ের এক মাসের মাথায় তাকে ডিভোর্স প্রদান করে। ডিভোর্স হওয়ার পর থেকেই কানিজ ফাতেমা সামিউল হাসানের সাথে ডিভোর্স ইস্যূতে পুনরায় যোগাযোগ শুরু করে এবং তার ডিভোর্সের জন্য তাকে দায়ী করতে থাকে এবং তার প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সামিউল হাসান রুপমের বাড়িতে প্রবেশ করে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ, সামিউল হাসানকে মারধর করে তার মোবাইল ও ঘরে থাকা গ্লাস প্লেট ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়।

ঘটনা স্থলে এ রিপোটার উপস্থিত হলে কানিজ ফাতেমা অভিযোগ করে বলেন, তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার বিয়ের আগে তাকে ইন্ডিয়া নিয়ে গিয়ে ও ডিভোর্সের পরে বিভিন্ন সময় তাকে বিভিন্ন যায়গায় নিয়ে একাধিক বার শারীরিক সম্পকৃ করেছে সামিউল হাসান। বিগত ২ মাস যাবত তাকে ২য় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে সামিউল হাসান গরিমসি করতে থাকে যার ফলে সে বাধ্য হয়ে উক্ত ঘটনার সূত্রপাত ঘাটিয়েছেন। তাকে সামিউল হাসান বিয়ে না করলে আত্নহত্যার হুমকি দেয় উক্ত যুবতী।

এব্যাপারে সামিউল হাসানকে জিজ্ঞাসা করা হলে সামিউল হাসান বলেন, কানিজ ফাতেমা আমার স্ত্রী সন্তান আছে জানা সত্বেও আমার সাথে নিজে থেকে আগবাড়িয়ে তার সাথে সম্পর্ক করেছে বিভিন্ন সময় তার কাছথেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহন করেছে, কানিজ ফাতেমা নিজেই তাকে ইন্ডিয়া নিয়ে যাবার প্রস্তাব দিয়েছে এবং তার টাকায় ইন্ডিয়া থেকে কেনাকাটা করেছে এবং বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকা ধার হিসেবে নিয়েছে যা আদায়ের জন্য সামিউল হাসান আদালতে মামলা দায়ের করেছিল তার প্রেক্ষিতে কানিজ ফাতেমা নিজে লুকিয়ে থেকে তার বড় ভাইয়ের মাধ্যমে থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করে সামিল হাসানকে টাকা আদায়ের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে এবং টাকা আদায়ের মামলা তুলে নেয়ার সমোঝতায় অপহরণ মামলা তুলে নেয়। পরবর্তিতে কানিজ ফাতেমা ডিভোর্সের পর নিজ থেকে তার সাথে নতুন করে যোগাযোগ স্থাপন করে এবং তাকে বিয়ে করার জন্য চাপাচাপি শুরু করে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কানিজ ফাতেমা থানায় মামলা করার জন্য বৃহস্পতিবার রাতে মানিকগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসারে কাছে অভিযোগ করতে যান। অপরদিকে সামিউল হাসানের পক্ষ থেকেও থানায় অভিযোগের জন্য গেছেন বলে জানা যায়।