নিজস্ব প্রতিবেদক, মানিকগঞ্জ :
মানিকগঞ্জে এবি ব্যাংকের ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা আত্নসাতের অভিযোগে সদ্য বরখাস্তকৃত ব্যাংক কর্মকর্তা ফয়সাল আলম সিহাব (২৪) কে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। গ্রেফতারকৃতরা বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলমের নিকট স্বীকারোক্তিমুলক জবান বন্দী দিয়েছে।
সোমবার (২৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এর মানিকগঞ্জের বিশেষ পুলিশ সুপার মীর্জা আব্দুল্লাহেল বাকী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, এবি ব্যাংকের মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার পারিল শাখায় শিক্ষানবিশ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন ফয়সাল আলম সিহাব । সেখান থেকে প্রতারণার মাধ্যমে এক কোটি ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। পরে প্রতারণাকৃত ৩৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকাসহ সিহাবকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
অপেশাদারি কার্যকলাপের জন্য ৫ জুলাই দায়িত্ব থেকে ফয়সালকে বরখাস্ত করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি গোপন রেখে এর দুই দিন পরে ব্যাংকের অন্য কর্মকর্তার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে এবি ব্যাংকের উত্তরা শাখার একটি ভুয়া অ্যাকাউন্টে এক কোটি ৩৭ লাখ টাকা জমা করেন তিনি।
এক সহযোগীর মাধ্যমে সেখান থেকে ৫০ লাখ টাকা উত্তোলন এবং ৭৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা আরটিজিএস এর মাধ্যমে গাড়ি বিক্রেতার অ্যাকাউন্টে দিয়ে দুইটি নতুন গাড়ি ক্রয় করে ফয়সাল। প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অবগত হয়ে গত ১০ জুলাই সিংগাইর থানায় ফয়সালসহ চারজনকে আসামি করে অভিযোগ করেন এবি ব্যাংকের পারিল শাখার ব্যবস্থাপক আরিফ আহমেদ। পরে উক্ত মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।
মামলাটির তদন্ত দায়িত্ব পেয়ে সিআইডি কর্মকর্তারা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ক্রয়কৃত নতুন গাড়ি দুইটি ঢাকার ঝিগাতলা থেকে ১৮ জুলাই উদ্ধার করেন। আর এই কাজে সহায়তার জন্য একই দিনে গ্রেফতার করা হয় মুত্তাকিন আহমেদ সিয়াম নামের ফয়সালের এক বন্ধুকে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ জুলাই রাতে সিংগাইরের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রধান আসামি ফয়সালকে। এসময় তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ৩৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।
বাকি টাকাগুলো উদ্ধার এবং প্রতারণার সাথে জড়িত সকল ব্যক্তিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মীর্জা আব্দুল্লাহেল বাকী। ২৭ জুলাই ( সোমবার) ফয়সালকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
