প্রচ্ছদ সারাদেশ খুলনা বিভাগ মণিরামপুরে মামলাবাজ রেজাউলের হাত থেকে বাঁচতে এলাকাবাসির সংবাদ সম্মেলন

মণিরামপুরে মামলাবাজ রেজাউলের হাত থেকে বাঁচতে এলাকাবাসির সংবাদ সম্মেলন

মোঃ মনোয়ার হোসেন, যশোর জেলা প্রতিনিধি: মণিরামপুরে মামলাবাজ রেজাউলের হাত থেকে বাঁচতে এলাকাবাসি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার বিকেলে মণিরামপুর প্রেসক্লাবে এলাকাবাসির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভূক্তভোগী নূরুল ইসলাম গাজী। লিখিত বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বলেন, উপজেলার চাকলা গ্রামের মৃত কুবাদ আলী দফাদারের ছেলে রেজাউল দফাদার একজন চি‎িহ্নত কুখ্যাত মিথ্যা মামলাবাজ। দীর্ঘদিন ধরে রেজাউল বহু নিরীহ ব্যক্তির নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে। এ পর্যন্ত এলাকার শ’খানের মত মামলা করেছে-যার কোন ভিত্তি নেই, সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। চলতি বছরের ১ম দিকে চাকলা-ভরতপুর গ্রামের গাজীপাড়া জামে মসজিদের ম্যানেজিং কমিটি মসজিদের খতিব ও সাধারণ মুসলিদের নামে সম্পূর্ন মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট মামলা করে হয়রানী করছে। এছাড়াও সম্প্রতি তার সহোদর নেছারুল দফাদারকে দিয়ে নিরীহ জনগণের নামে মিথ্যা ছিনতাই মামলা করেছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, রেজাউল দফাদার একজন চি‎িহ্নত চাঁদাবাজ। তিনি সব সময়ই ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতি করেন। অর্থাৎ যখন যে দল গঠন করে তখন ধূর্তবাজ রেজাউল সেই সরকারী ক্ষমতাসীন দলে ঢুকে নিরীহ জনগনের উপর সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করে-মিথ্যা মামলা মোকদ্দমার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজী করায় তার অন্যতম পেশা। এই ভাবে মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে চাকলা গ্রামের ফজর আলী, আলতাফ হোসেন, আনছার আলী, অজিবার রহমানের কাছ থেকে অন্তত: ১০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পাননি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেক মির্জা ও তার ভাই আওয়ামীলীগনেতা অধ্যাপক ফেরদৌস রানাসহ ওই এলাকার নিরীহ বাসিন্দা রুহুল আমিন, আনছার আলী, নুর হোসেন, এনায়েত আলী সরদার, এরশাদ আলী, নুরুল ইসলাম, মশ্বিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের ০৮নং ওয়ার্ড সদস্য সিরাজুল ইসলামসহ অন্তত: ১৫০ জন ব্যক্তি।
লিখিত বক্তব্যে নূরুল ইসলাম আরো বলেন, রেজাউল দফাদার একজন মানব পাঁচারকারী, ইয়াবা বিক্রেতা, ও চোরা কারবারী সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য। ইতোপূর্বে চাকলা গ্রামের মাহমুদ সরদারের মেয়ে ছায়রা খাতুনকে পাঁচার ও গুম করে। যার আজও কোন সন্ধান মেলেনি। সে একজন চি‎িহ্নত সন্ত্রাসী ও ভুমি দখলকারী হিসেবে পরিচিত। বিগত কয়েক বছর ধরে ওই এলাকার নুর মোহাম্মদ, আব্দুল জলিল, আজিবার রহমান, রুহুল আমিন, নুর হোসেন, মামুদ আলী, মুজিবার রহমান, নূরুল ইসলামসহ অনেকের জমি জবর-দখল করে নেওয়ার অভিযোগ আছে। এছাড়া নিরীহ মানুষকে কখনো মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে, কখনোও জামায়াত-শিবিরের তালিকায় নাম দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হয়রানী ও চাঁদা আদায় করার একাধিক অভিযোগ আছে।
নিরীহ জনগণের পক্ষে নূরুল ইসলামের আকুল আবেদন, মামলাবাজ ও বহু অপকর্মের হোতা রেজাউলের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগনেতা অধ্যাপক ফেরদৌস রানা, হাফেজ মোঃ ইসহাক, ব্যবসায়ী তুহিন হোসেন, রাসেদুল ইসলাম, আলতাফ হোসেন, মিজানুর রহমান, আনারুল ইসলাম হাসান আলীসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও শতাধিক এলাকাবাসি।