প্রচ্ছদ অর্থনীতি ভ্যাট আদায়ে মেশিনই বসাতে পারলাম না: অর্থমন্ত্রী

ভ্যাট আদায়ে মেশিনই বসাতে পারলাম না: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধির মূল জায়গা হচ্ছে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট)। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, অনলাইনে ভ্যাট আদায়ের জন্য আমরা এখনো মেশিনই (ইলেক্ট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস) বসাতে পারিনি।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আয়কর খাতে রজস্ব অনেক বেড়েছে। ট্যাক্স রেভিনিউ কম আছে। তবে নির্ধারিত সময়ে সেটা আমরা পূরণ করতে পারবো। বছর শেষে আমরা রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি সেটা অর্জন করতে পারবো।’

গত তিন মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি ভালো না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘প্রবৃদ্ধিটা বেশি হচ্ছে না, তবে সেটা হবে। রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধির মূল জায়গা হচ্ছে ভ্যাট। কিন্তু ভ্যাট আদায়ে আমরা এখনো মেশিনই বসাতে পারিনি। মেশিন বসালে আমরা জনবল দিতাম, তারপর ভ্যাট আদায় করতাম।’

‘এনবিআরের পক্ষ থেকে কিন্তু জানানো হয়েছে, ১ জুলাই থেকে মেশিনগুলো সরবরাহ করা হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলো এখনো মেশিনগুলো পাইনি। আশা করি এখন মেশিন আসবে, এনবিআর চেয়ারম্যান বলেছেন ডিসেম্বরের মধ্যেই মেশিন সরবরাহ করা হবে।’

ডিসেম্বরে হলে ইতোমধ্যে অর্থবছরের ছয় মাস পার হয়ে যাবে। তারপর এ ক্ষতি পূরণ কি সম্ভব এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ছয় মাস চলে যাবে এটা আমিও জানি, আপনিও জানেন। কিন্তু আমি তো উনাকে (এনবিআর চেয়ারম্যান) বিশ্বাস করেছিলাম। শপথ নিয়ে প্রথমেই এ বিষয়ে কথা বলেছিলাম। তিনি সেদিনই বলেছিলেন জুলাইয়ের প্রথমেই মেশিনগুলো সরবরাহ করবে। কিন্তু সেটা হয়নি।’

উনার না পারাটা আপনার না পারা হিসেবে গণ্য হবে প্রশ্নে তিন বলেন, ‘আমি অস্বীকার করছি না। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ লস করেছে। বাংলাদেশ এ ব্যাপারে অনেক ক্ষেত্রেই লস করেছে।’

রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেয়ায় প্রবৃদ্ধি ম্যাজিক্যালিভাবে বেড়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমি এ ক্ষেত্রে আশাহত হবো না। প্রথম শুরু করছি তাই হয়তো একটু সমস্যা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ জুলাই অনলাইনে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আদায়ে এক লাখ ইলেক্ট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি), ৫০০ ইউনিট সেলস ডাটা কন্ট্রোলার (এসডিসি) এবং ফিসক্যাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইএফডিএমএস) কেনার একটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। এতে সরকারের ব্যয় ধরা হয় ৩১৫ কোটি ৮৮ লাখ ২১ হাজার ৯৫৭ টাকা। এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু ডিভাইসগুলো এখন আসেনি।