বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :
তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে প্রণীত ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ-২০২০’ তথা ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনা আইন এক যুগান্তকারী অধ্যায়। বললেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ রোববার (১০ মে) সন্ধ্যায় বনানীর তার বাসভবন থেকে ভার্চুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ভার্চুয়াল কোর্ট বাংলাদেশকে আরও একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে আদালত পরিচালনার কথা চিন্তাভাবনা করেছে। সেক্ষেত্র আমরা বলতে পারি বাংলাদেশ খুব একটা পিছিয়ে নেই।
তিনি আরও বলেন, সাক্ষ্য আইন সংশোধন হওয়ার পর এ অধ্যাদেশে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বিচারিক কাজগুলো শুরু করা যাবে। তখন আমাদের নিম্ন আদালত এবং বিচারিক আদালত তথ্য-প্রযুক্তি মাধ্যম ব্যবহার করে ট্রায়াল, সাক্ষ্য গ্রহণ এবং যুক্তিতর্ক শুনতে পারবে এবং রায় প্রদান করতে পারবে।
এ অধ্যাদেশে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগ প্রাকটিস নির্দেশনার মাধ্যমে কার্যবিধি নির্ধারণ করে দিয়ে অন্যান্য মামলার শুনানি গ্রহণ করতে পারবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, দেশে যেহেতু ভার্চুয়াল কোর্ট এবারই প্রথম তাই এ ব্যাপারে আমাদের অভিজ্ঞতা নেই। তবে এ অধ্যাদেশ প্রণয়নের চিন্তাভাবনার শুরু থেকে বিচারকদের জন্য একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ পরিচালনা করা হয়েছিল।এ প্রশিক্ষণের জ্ঞান থেকে তারা স্বল্প পরিসরে জামিন শুনানিসহ অন্যান্য কাজ করতে পারবেন বলে আমি আশা করি।
