প্রচ্ছদ জাতীয় ব্যবস্থা নিলে খুব কমই ভালো গাড়ি পাওয়া যাবে : কাদের

ব্যবস্থা নিলে খুব কমই ভালো গাড়ি পাওয়া যাবে : কাদের

‘ফিটনেসবিহীন গাড়ি যে অবস্থায় আছে, এ অবস্থায় ব্যবস্থা নিতে গেলে খুব কম সংখ্যকই ভালো গাড়ি পাওয়া যাবে’ বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা বাস্তবতার নিরিখে সবকিছু বিবেচনা করব।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ফিটনেসের যে আইন সে আইন অনুসরণ করলে একটি বাসেও ফিটনেস পাবে না, ২৬ সিটকে ৪২ সিট বানিয়ে ফেলছে, ফিটনেস বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ মানা শুরু হলে গণপরিবহন থাকবে না; এতে জনভোগান্তি তৈরি হবে কিনা- এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বাস্তবতার নিরিখে সবকিছু বিবেচনা করব। বাস্তবতার বিষয়টি যদি চিন্তাভাবনা না করতাম তাহলে ঢাকা শহরে দেখা যায় রোড সেফটি প্রোগ্রামে যাই এবং যখন গাড়িগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করি; তখন দেখা যায় রাস্তায় গাড়ি কমে যায় জনগণের ভোগান্তি হয়।

তিনি বলেন, এ জন্য আমরা বিকল্প ব্যবস্থার বিষয়টি গভীরভাবে বিবেচনা করছি, গণপরিবহনে আরও পরিবহন যুক্ত করার ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। এ ব্যাপারে ঋণ সুবিধা দিয়ে গণপরিবহনের মেয়র আনিস যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন সেভাবে কোম্পানির অধীন গণপরিবহনের বিষয়কে চিন্তাভাবনা করছি। বহরে আরও পরিবহন যুক্ত করা দরকার। তা না হলে ফিটনেসবিহীন গাড়ি যে অবস্থায় আছে এ অবস্থায় ব্যবস্থা নিতে গেলে খুব কম গাড়িই পাওয়া যাবে, ভালো গাড়ি। অনেক গাড়িরই বাজে অবস্থা। দেখতেও গরিব গরিব চেহারা আবার কেউ রঙচঙ চড়ায়। কিন্তু বাইরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট, এটি আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তেল দেয়ার বিষয়টি জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের, হাইকোর্ট যখন আদেশ দিয়েছেন পেট্রল পাম্প তো জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের, তারা এ আদেশ মানার প্রক্রিয়া কতটুকু এগিয়েছে তা জানি না। আমার মনে হয় হাইকোর্ট যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, সিদ্ধান্ত দেয়ার আগেও হেলমেট না থাকলে তেল নয়, যে ব্যবস্থা করা হয়েছিল সেটি কিন্তু কার্যকর হয়েছে। এ বিষয়টি মনে হয় জনস্বার্থে মেনে নেয়া দরকার, এটা মেনে নিলে মানুষ উপকৃত হবে।

তিনি বলেন, বিআরটিএ জনবল আগের চেয়ে ভালো। জনবল বাড়ানোর জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে, তাগিদ দেয়া হচ্ছে। কাজ যতটা বেড়েছে সে তুলনায় জনবল নেই, জনবল আরও বাড়াতে পারব শিগগিরই।

সড়ক পরিবহন আইন আগামী ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে কিন্তু এখন পর্যন্ত এ আইনের বিধিমালা তৈরি হয়নি- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিধিমালাটা মূল আইনের পরিপন্থী নয়। মূল আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই বিধিমালা হয়। এবার নিরাপদ সড়ক দিবসের প্রচারণাটা অন্যবারের তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে।