প্রচ্ছদ সারাদেশ ঢাকা বিভাগ বেড়েই চলেছে মানিকগঞ্জে তিনটি নদীর পানি, তলিয়ে গেছে অফিস-আদালত

বেড়েই চলেছে মানিকগঞ্জে তিনটি নদীর পানি, তলিয়ে গেছে অফিস-আদালত

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, মানিকগঞ্জ :
মানিকগঞ্জের যমুনা নদীর পানি না বাড়লেও আভ্যন্তরীর নদী পদ্মা, ধলেশ্বরী ও কালীগঙ্গার পানি বড়েই চলেছে। এসব নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কালীগঙ্গা নদীর পানি তরা পয়েন্টে পাঁচ সেন্টিমিটার বেড়ে তা বিপদসীমার ১১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একদিনের ব্যবধানে ধলেশ্বরী নদীর পানি জাগীর পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার বেড়ে তা বিপদসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। যমুনা নদীর পানি আরিচা পয়েন্টে পানি পরিমাপ করে দেখা গেছে যমুনা পানি স্থির অবস্থায় রয়েছে। তবে তা বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মানিকগঞ্জ

দীর্ঘ মেয়াদী এ বন্যায় ছয় লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। অধিকাংশ বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। জেলা ও দায়রা জজকোর্ট, পুলিশ লাইন্স, কারাগারসহ জেলা শহরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস চত্বরে পানিতে তলিয়ে গেছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি ও খাদ্য সংকট। জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ত্রাণসহায়তা দেওয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম বলে জানান বানভাসি মানুষেরা।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আমির হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলার বন্যাদুর্গত এলাকায় ১০ হাজার পরিবারকে চাল, শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ও গোখাদ্যের জন্য নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে ভিজিএফ কার্ডধারী এক লাখ সাত হাজার ৮৫৩ জন দু:স্থ ব্যক্তিকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌসসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে এসব ত্রাণ বিতরণ করছেন।

বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজির আহমেদ এবং বাংলাদেশ পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর ও অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শকের পক্ষ থেকে হরিরারমপুরের দুর্গম চরাঞ্চলের তিন শত বন্যার্ত ব্যক্তির প্রত্যেকের হাতে একটি করে শাড়ি ও লুঙ্গি, দুটি সাবান, পাঁচ কেজি চাল, এক লিটার তেল, আধা কেজি লবণ ও এক কেজি ডাল তুলে দেন মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম।