প্রচ্ছদ আইন আদালত বেসিক ব্যাংক দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা হাইকোর্টে

বেসিক ব্যাংক দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা হাইকোর্টে

বেসিক ব্যাংক দুর্নীতিসংক্রান্ত মামলার সব তদন্ত কর্মকর্তা মামলার নথিপত্র নিয়ে হাইকোর্টে হাজির হয়েছেন।

বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে বেসিক ব্যাংক দুর্নীতিসংক্রান্ত মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ার বিষয়ে শুনানি হবে।

এর আগে গত ২৩ মে বেসিক ব্যাংক দুর্নীতিসংক্রান্ত ৫৬ মামলার সব তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছন হাইকোর্ট। তদন্তের সব নথি নিয়ে তাদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এসব মামলার কয়েকজন আসামির জামিন শুনানিতে  তদন্ত শেষ করতে না পারার বিষয়টি নজরে এলে  হাইকোর্ট এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।

পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বেসিক ব্যাংকের প্রাক্তন ডিএমডি ফজলুস সোবহান, প্রাক্তন ডিজিএম শিপার আহমেদসহ কয়েকজনের জামিন শুনানি ছিল এদিন। শুনানিতে আদালতের কাছে প্রতিভাত হয় যে তদন্ত আড়াই বছরেও শেষ হয়নি। অথচ দুদক আইনে আছে-১৮০ দিনে তদন্ত শেষ করতে হবে।

এ কারণে আদালত ওই ৫৬ মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনসহ সব মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের হাজির হতে নির্দেশ দেন আদালত।

২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে রাষ্ট্রায়াত্ত বেসিক ব্যাংকের গুলশান, দিলকুশা ও শান্তিনগর শাখা থেকে মোট সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ অনিয়মের মাধ্যমে বিতরণের অভিযোগ ওঠার পর তদন্তে নামে দুদক।

ঋণপত্র যাচাই না করে জামানত ছাড়া, জাল দলিলে ভুয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দানসহ নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিধি বহির্ভূতভাবে ঋণ অনুমোদনের অভিযোগ ওঠে ব্যাংকটির তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে।

প্রায় চার বছর অনুসন্ধান শেষে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে রাজধানীর গুলশান, পল্টন ও মতিঝিল থানায় ৫৬টি মামলা করেন দুদক।

এসব মামলায় মোট দুই হাজার ৩৬ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৩৪১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় ১৫৬ জন আসামির বিরুদ্ধে। আসামিদের মধ্যে ২৬ জন ওই ব্যাংকের কর্মকর্তা ছিলেন; বাকিরা ঋণ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক জরিপ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত।