প্রচ্ছদ হেড লাইন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যে ভুলে চড়া মাসুল দিচ্ছে গোটা বিশ্ব, জানালো ডব্লিউএমএ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যে ভুলে চড়া মাসুল দিচ্ছে গোটা বিশ্ব, জানালো ডব্লিউএমএ

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম : 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরে সুর মিলিয়ে এ বার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) কড়া সমালোচনা করল ‘ওয়ার্ল্ড মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউএমএ)’।

বলল, করোনা সংক্রমণ যে গোটা বিশ্বে অতিমারির চেহারা নিয়েছে, তার জন্য দায়ী হু-ই। এমন সংক্রমণ রোখার জন্য আগেভাগেই যে যে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিল তাইওয়ান, ‘রাজনৈতিক কারণে’ই তাকে গুরুত্ব দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্বে ১ কোটি চিকিৎসকের সংগঠন ডব্লিউএমএ বলেছে, ‘‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই ভুলেরই আজ চড়া মাসুল গুনতে হচ্ছে গোটা বিশ্বকে।’’ আগামী দিনে আরও বড় ভুল এড়াতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাতে তাইওয়ানের গুরুত্ব বাড়ানোরও দাবি জানিয়েছে ডব্লিউএমএ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস আদানম গেব্রেইসাসকে লেখা একটি চিঠিতে ডব্লিইএমএ-র তরফে শুক্রবার অভিযোগ করা হয়েছে, ‘‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় তাইওয়ানকে বাধাহীন কার্যকরী ভূমিকা নিতে না দেওয়াটা যে বিশ্বের স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে কত বড় ভুল হয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রমণ অতিমারি হয়ে উঠে সেটাই প্রমাণ করল।’’

২০০৩ সালে আর এক ধরনের করোনাভাইরাস ‘সার্স’-এর হানায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল তাইওয়ানে। তাইওয়ানের অভিযোগ, সার্সের অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করতে চেয়েছিল তাইওয়ান। অনেক আগেই জানিয়েছিল, অন্য কোনও করোনাভাইরাস পরে মানুষের মধ্যেও দ্রুত হারে ব্যাপক ভাবে সংক্রমিত হতে পারে। কিন্তু চীনের দিকে ঝুঁকে থাকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাতে কর্ণপাত করেনি।

বছর দু’য়েক আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিনির্ধারক কমিটিতেও তাইওয়ানকে ‘পর্যবেক্ষক’-এর মর্যাদা দিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রাজি হয়নি, মূলত চীনের আপত্তিতেই। চীনের আপত্তির কারণ, তাইওয়ানকে তারই এলাকা মনে করে বেইজিং।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে চীন-ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলে এই সপ্তাহেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জন্য দেওয়া মার্কিন অর্থসাহায্য বন্ধের ঘোষণা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গত বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে আমেরিকা ৪০ কোটি ডলার অর্থসাহায্য করেছিল।

তখন অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওই ঘোষণার কড়া সমালোচনা করেছিল ডব্লিউএমএ-র আমেরিকা চ্যাপ্টার। বলা হয়েছিল, ‘‘এই অর্থসাহায্য বন্ধের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত বিপজ্জনক সভ্যতার পক্ষে।’’ আনন্দবাজার।