প্রচ্ছদ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বজুড়ে চলছে করোনার প্রতিষেধক তৈরির আপ্রাণ চেষ্টা

বিশ্বজুড়ে চলছে করোনার প্রতিষেধক তৈরির আপ্রাণ চেষ্টা

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে চলছে নভেল করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন তৈরির কাজ। তবে চলতি সপ্তাহে যেন সে কাজ আরো গতি পেয়েছে। এরই মধ্যে মানুষের ওপর সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা পরীক্ষার জন্য অনুমতি দিয়েছে জার্মানি। অন্যদিকে, আজ বৃহস্পতিবার থেকে মানবদেহে করোনার একটি সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সারা বিশ্বে ১৫০টি ভ্যাকসিন তৈরির প্রকল্পে কাজ চলছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে পাঁচটির ক্ষেত্রে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি পাওয়া গেছে।

 বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে মানুষের ওপর করোনার ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হচ্ছে। এ ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড। শিম্পাঞ্জির দেহে পাওয়া একটি ভাইরাসের ওপর ভিত্তি করে ভ্যাকসিনটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অক্সফোর্ডের জেনার ইনস্টিটিউট ভ্যাকসিনটি নিয়ে কাজ করছে। প্রথম পর্যায়ে ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ৫১০ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর পরীক্ষামূলকভাবে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হবে।

ভ্যাকসিনটি গবেষণার নেতৃত্বে রয়েছেন অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা শতকারা ৮০ ভাগ আশাবাদী। জেনার ইনস্টিটিউটের লক্ষ্য আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১০ লাখ ভ্যাকসিন ডোজ তৈরি করা।

এদিকে, গত  বুধবার জার্মানি থেকেও করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে সুখবর পাওয়া গেছে। দেশটির ভাইরাস গবেষণা ও উৎপাদন নিয়ন্ত্রক সংস্থা পিইআই মানুষের ওপর করোনার প্রতিষেধকের ট্রায়াল চালানোর অনুমতি দিয়েছে। এ ভ্যাকসিন তৈরি করেছে জার্মানির সংস্থা বায়োএনটেক এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ফাইজার। জার্মানির নিয়ন্ত্রক সংস্থা পিইআই বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন ট্রায়াল নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। জার্মানিতেও ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ২০০ স্বেচ্ছাসেবকের ওপর ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনায় আক্রান্ত ঝুঁকিপূর্ণ গ্রুপের মধ্যে ট্রায়াল করা হবে। চলতি মাসের মধ্যেই এ কাজ শুরু হবে। তবে পরীক্ষার ফল পেতে জুলাইয়ের শুরু পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছে বায়োএনটেক কর্তৃপক্ষ।