প্রচ্ছদ রাজনীতি বিনা চিকিৎসায় খালেদা জিয়ার কিছু হলে তার দায় এই সরকারকেই নিতে হবে...

বিনা চিকিৎসায় খালেদা জিয়ার কিছু হলে তার দায় এই সরকারকেই নিতে হবে : মির্জা ফকরুল

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ ২৮ নভেম্বর

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিনা চিকিৎসায় খালেদা জিয়ার কিছু হলে তার দায় এই সরকারকেই নিতে হবে। এই সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে তাই নির্বাচন করতে ভয় পায়। সরকার সংলাপের নামে অর্থহীন তামাশা করছে। আমরা এই তামাশার সংলাপ চাই না। এই সরকারের পদত্যাগ দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে মানিকগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা বিএনপি’র সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসএ কবির জিন্নাহর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগরের (দক্ষিণ) আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর রহমান মিলন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল,,মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আশিকুর রহমান খান,নগর যুবদল নেতা শাহ আব্দুর রাজ্জাক টিপুসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। বারবার চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে বললেও সরকার কোনো কর্ণপাত করছে না। উন্নত চিকিৎসার সুযোগ না দিলে এর দায় সরকারকে নিতে হবে। এ ব্যাপারে বারবার আইন দেখান আইনমন্ত্রী। অথচ তারা নিজেরাই বেআইনিভাবে ক্ষমতায় রয়েছে। আগের রাতে নির্বাচন করে রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করে গত ১৪ বছর ধরে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। তারা দেশটাকে একটা আস্তাকুঁড়ের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সব ধ্বংস করে দিয়েছে তারা। আমাদের দলের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।

ফখরুল আরো বলেন, সরকার সুপরিকল্পিতভাবে গনতন্ত্রকে হত্যা করে দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। দুর্নীতির দায়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ৬০ জনকে মার্কিন রাষ্টে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন দিয়ে সাংবাদিকদের হাত বেঁধে রেখেছে।

ফকরুল আরো বলেন, এই সরকারের আমলে কেউ ভালো নেই। তারা বলেছিলেন ক্ষমতায় এলে তারা ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়াবেন। ঘরে ঘরে একজনকে চাকরী দিবেন। কিছুই করেনি এই সরকার। তারা জনগনের সাথে তামাশা করছেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমতায় আছে ততক্ষণ নির্বাচন কমিশন গঠন করে লাভ হবে না। সরকার তো নিজেই নির্বাচনী ব্যবস্থাপনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ সরকার না থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। সব নির্বাচনে সরকার দলীয়রা জোর করে জিতছে। এই সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।