রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে জড়ো হচ্ছেন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সমাবেশকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রোববার সকালে রমনা জোনের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার রাইজিংবিডিকে বলেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটাতে না পারে, সে জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সমাবেশস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকেও সমাবেশস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। এরপরও কেউ যদি কোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে, তা হলে কঠোর হাতে দমন করা হবে।
পুলিশ জানায়, জনসমাগম ঘটিয়ে যাতে কোনো সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য সার্বিক প্রস্তুতিও রয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশের শর্তগুলো মেনেই সমাবেশ হচ্ছে কি না তা নজরদারি করা হচ্ছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, কর্মসূচির নামে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ বা জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, গত বছরের ৫ জানুয়ারি সমাবেশ ঘিরে বিএনপি ও জামায়াত-শিবির ঢাকাসহ দেশব্যাপী নাশকতা চালিয়েছিল। সে কারণে পুলিশের প্রস্তুতি রয়েছে। বিভিন্ন নাশকতার মামলার আসামিদের ওপর নজরদারিতে রাখা হয়েছে। বিশেষ করে ফকিরাপুল, মতিঝিল, খিলগাঁও, রামপুরা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের কার্যক্রম মনিটর করা হচ্ছে। সমাবেশের প্রবেশের গেটগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ। প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশের বিশেষ ইউনিটকে।