বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :
বিয়ের পর স্ত্রী যদি বাবা-মাকে ছেড়ে আলাদা থাকার জন্য চাপ দেয় তাহলে তাকে ডিভোর্স দিতে পারবে স্বামী। স্বামীকে বারবার চাপ দিয়ে বাবা-মাকে ছাড়তে বলাটা তার ওপর মানসিক নির্যাতন এবং এটাকে দণ্ডনীয় অপরাধ বলা চলে। তাই স্ত্রীকে ডিভোর্স দেয়ার জন্য এটিই যথেষ্ট। রোববার একটি বিচ্ছেদের মামলার ভিত্তিতে এমনই মন্তব্য করেছেন ভারতের কেরালার হাইকোর্ট। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।
স্ত্রী মাকে ছেড়ে আলাদা থাকতে চাপ দিচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে কেরালা হাইকোর্টে বিচ্ছেদের মামলা করেন এক ব্যক্তি। তবে ওই ব্যক্তির স্ত্রী অভিযোগ করেন যে, শাশুড়ির নির্দেশে স্বামী মদ্যপান করে তার ওপর অত্যাচার চালান। ওই নারী বলেন, তিনি স্বামীর সঙ্গে ঘর করতে চান, কিন্তু শাশুড়ির সঙ্গে নয়।ও
ই মামলার ভিত্তিতে বিচারপতি এএম শফিক ও বিচারপতি মেরি জোসেফের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়,অসহায় বাবা-মা এবং স্ত্রীর প্রত্যাশা, এই দুইয়ের টানাপোড়েনের মধ্যে জীবনধারণ যেকোনো পুরুষের জন্যই অসহনীয়। এই ধরনের কোনও ঘটনায় যদি দেখা যায় ডিভোর্সের জন্য অন্য কোনও গ্রহণযোগ্য কারণ নেই। তখন শুধু এই কারণের ভিত্তিতেই স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে পারবে স্বামী। এই পর্যবেক্ষণের পরই আদালত রায় দেন যে, শাশুড়ির থেকে আলাদা থাকার জন্য চাপ দেয়ার এই আচরণের জন্য স্বামী তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে পারেন।
এই মামলায় কেরালা হাইকোর্টের আরও একটি পর্যবেক্ষণ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। দুই বিচারপতির ওই ডিভিশন বেঞ্চ বলছে, বাড়ির বৌকে দিয়ে ঘরের কাজ করানোটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। বড়রা চাইলে কখনও কখনও ছোটদের বকাবকিও করতে পারেন।
আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, কোনও পরিবারই এমন নেই যেখানে সদস্যদের মধ্যে ঝামেলা হয় না। বড়রা ছোটদের বকাবকি এমনকি হেনস্তা করলেও সেটা খুব সাধারণ বিষয়। বাড়ির বউকে ঘরের কাজ করতে বলাটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে হাইকোর্টের এই মন্তব্য নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে নেটদুনিয়ায়।
