প্রচ্ছদ শিক্ষাঙ্গন বাংলাদেশ-ভারত টেলি কোলাবোরেশান প্রোগ্রামে মানিকগঞ্জের শিক্ষক নূরুল ইসলাম

বাংলাদেশ-ভারত টেলি কোলাবোরেশান প্রোগ্রামে মানিকগঞ্জের শিক্ষক নূরুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, মানিকগঞ্জ :

২০১৫সালে জাতিসংঘ কর্তৃক প্রণীত ১৭টি এসডিজি নিয়ে সম্প্রতি যৌথভাবে কাজ করছে ইকো ট্রেনিং সেন্টার (সুইডেন), নাসিক টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার (ভারত) এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষকবৃন্দ।

মূলত: সুইডেনের ইকো ট্রেনিং সেন্টারের উদ্যোগে পরিচালিত বাংলাদেশ এবং ভারতের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং শিক্ষা কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ – ভারত টেলিকোলাবোরেশান প্রোগ্রামটি পরিচালিত হয়।

এই প্রোগ্রামে অংশ নিলেন মানিকগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার মত্ত বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক এবং আইসিটি ফর এডুকেশন মানিকগঞ্জ জেলা অ্যাম্বাসেডর নূরুল ইসলাম।

এ প্রোগ্রামে তার পার্টনার হিসেবে ছিলেন ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩জন শিক্ষক ভিজয় ইয়োলি (Mr. Vijay Yeole) , সন্তোষ উষিড় (Mr. Santosh Ushir) এবং ধামপাল সোরওয়াদি ( Mr. Dhammpal Surwade) । বাংলাদেশের পার্টনার ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসী ও সিলেটের আবু তাহের ।

এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে দুটি দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ভাষা, আচার অনুষ্ঠান, উৎসব, ইতিহাস, ঐতিহ্যসহ নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের পাশাপাশি এসডিজি এর ১৭টি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ৭টি লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে দুই দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, লক্ষ্যমাত্রা, প্রতিকুলতা, সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এই ৭টি এসডিজি হলো: No Poverty, Zero Hunger, Good Health and well being, Quality Education, Gender Equity and Reduced Inequality ১৫টি সেশনের মধ্যে ৬টি সেশনই ছিল কোয়ালিটি এডুকেশন নিয়ে।

এই প্রসঙ্গে শিক্ষক নূরুল ইসলাম বলেন- শুধুমাত্র একটি আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামে অংশগ্রহণই নয় একজন শিক্ষক হিসেবে নিজ দেশের শিক্ষা নিয়ে কাজ করার দায়িত্ববোধ থেকে তিনি এখানে অংশগ্রহণ করেন। তিনি মনে করেন এই কোলাবোরেশনের মাধ্যমে তিনি এসডিজিগুলো সম্পর্কে অনেকটাই অবগত হন এবং দুই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা জানার মাধ্যমে তিনি নিজ দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে তার বিশ্বাস। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিষয়গুলো তারা উভয়ের মধ্যে শেয়ার করেন। ভাষা মাধ্যম হিসেবে তারা ইংরেজি ভাষাকে ব্যবহার করেন।

গত ০৯ জুন তাদের ১৫তম সেশনের শেষ দিনে সাফল্যের সাথে প্রোগ্রাম সম্পন্ন করায় প্রোগ্রামে উপস্থিত হয়ে নূরুল ইসলামকে অভিনন্দন জানান ভারতের শিক্ষা কর্মকর্তা ও ভারতীয় কো-অর্ডিনেটর ইয়োগেশ সোনাওয়ানে। নূরুল ইসলাম বারের মতো কোনো আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।

নূরুল ইসলাম ইতিপূর্বে ২০০৯সালে আন্ত:পিটিআই সাহিত্য সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় সুন্দর হাতের লেখায় ঢাকা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন এবং ২০১২সালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হন।