প্রচ্ছদ জাতীয় বদলে গেছে কুয়াকাটা সৈকতের রূপ

বদলে গেছে কুয়াকাটা সৈকতের রূপ

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

সুর্যোদয় আর সূর্যাস্তের বেলাভূমি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। সাগরের গভীরতা উপভোগের পাশাপাশি প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ছুটে আসতেন সাগর কন্যা কুয়াকাটায়।

কিন্তু এবারের চিত্র একেবারে ভিন্ন। করোন ভাইরাসের প্রভাবে লকডাউন থাকায় পর্যটক শূণ্য কুয়াকাটা। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস কোন পর্যটক থাকায় প্রকৃতি অপরুপ সাজ নিয়ে হাজির হয়েছে এবার হাজির হয়েছে সকলের সামনে। এ যেন রুপ যৌবনে ভরা নতুন এক কুয়াকাটা।

নিঃসঙ্গ সাগর কন্যার আলাদা রূপ, নেই হাঁক ডাক, নেই পর্যটকের দৌড়ঝাপ, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের হালের রূপ চোখ ধাঁধিয়ে দেয়।দুই মাসে সবর্ত্রই কমেছে কোলাহল আর দূষণ।কুয়াকাটা সৈকতেও ফিরেছে রূপ-লাবণ্য। পরিচ্ছন্ন সৈকতের কোল ঘেঁষে সংরক্ষিত বনাঞ্চল গঙ্গামতিতে যেন আগুন জ্বেলেছে কৃষ্ণচুড়া। স্থানীয়রা বলেন, ‘আমাদের কুয়াকাটা যে আসলেই সুন্দর সেটা এই লকডাউনের মধ্যে আসলেই বুঝা যাচ্ছে।’

যেন জাদুর কাঠির মোহন ছোঁয়ায় বদলে গেছে প্রকৃতি, অলকানন্দ থেকে পিটুনিয়া, জারুলের সাথে কচুরি ফুলের মেলবন্ধন, অদ্ভূত সৌন্দর্য ছড়িয়েছে নানা ফুল, সবুজের সমারোহ আর প্রকৃতিতে মাতাল হাওয়া।

কুয়াকাটা পৌরসভা মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা বলেন, ‘লোকজনের চলাচল না করায় গাছপালায় সজিবতা ফিরে এসেছে।তবে আমাদের অনেক সমস্যা। ময়লা পরিস্কার করে ফেলানোর জায়গা নেই।’

ভর দুপুরে বালুকা বেলায় লাল কাঁকড়ার ছুটে চলা, বিকেল গড়াতেই কমলা রঙের সুর্য নামে সমুদ্র স্নানে।প্রকৃতি অকৃত্রিম ভালোবাসায় আগলে রেখেছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতকে।পটুয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে উপকুলীয় বন বিভাগের অধীনে যে সমস্ত বন আছে সেখানে লকডাউন ওঠার পরও যেন এমনটা ধরে রাখতে পারি।’

বিশাল জলরাশির কোল ঘেঁষে একটুকরো সবুজ দ্বীপের মতই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। লক ডাউন জামানার শেষেও যেন এমনই থাকে কুয়াকাটার রূপ।