প্রচ্ছদ খেলাধুলা ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সকে ৮ উইকেটে হারাল কুমিল্লা। আর সেই সঙ্গে বিপিএলের ফাইনালে উঠে গেল তামিমরা।

১৬৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দেখে শুনেই শুরু করেন কুমিল্লার দুই ওপেনার এভিন লুইস ও তামিম ইকবাল। উদ্বোধনী জুটি থেকে ৩৫ রান আসে। ব্যক্তিগত ১৭ রানে মাশরাফির বলে বলে আউট হন তামিম। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন এনামুল হক বিজয় ও এভিন লুইস।

দুজনের ব্যাট ভর করে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে কুমিল্লা। রংপুরের বোলারদের ভাজেভাবেই শাসন করতে থাকেন লুইস ও বিজয়। দুজনে মিলে গড়েন ৯০ রানে জুটি। ৩২ বলে ৩৯ রান করে দলীয় ১২৫ রানে শফিউলের বলে বোল্ড হন বিজয়।

এভিন লুইস এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছানোর কাজটুকু নিজের কাঁধে তুলে নেন। ৫৩ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন লুইস। সামসুর ১৫ বলে ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললেন।

তবে এখানে থেমে যাচ্ছে না টেবিলের শীর্ষে থেকে লিগ পর্ব শেষ করা রংপুর রাইডার্সের যাত্রা। তাদের এখন খেলতে হবে এলিমিনেটর ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসকে বিদায় করে দেয়া ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে। ওই ম্যাচের জয়ী দলই ফাইনালে কুমিল্লার বিপক্ষে লড়বে।

রবিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুরের অধিনায়ক মাশরাফি।

শুরুতেই ওপেনার মেহেদী মারুফ ফিরে যান মাত্র ১ রানে। এরপর ক্রিস গেইল খেলতে থাকেন ধীর গতিতে। মোহাম্মদ মিঠুনও ব্যর্থ হন। তিনি রান আউট হয়ে ফেরেন মাত্র ৩ রানে। এরপর দারুণ ফর্মে থাকা রাইলি রুশো ক্রিজে আসেন।

খোলস ছেড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেন ক্রিস গেইল। এরপর ৪৬ রানের সময় স্কয়ার লেগে গেইলের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন মাহাদী হাসান। পরের ওভারে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন গেইল। লং অনে থিসারা পেরেরা লুফে নেন গেইলের ক্যাচ।

শেষ পাঁচ ওভারে ৭৪ রান তোলেন রুশো-হাওয়েল জুটি। আর তাতেই ১৬৫ রানের সংগ্রহ পেয়ে যায় রংপুর। ৪১ বলে ৪৪ রানে রুশো ফিরে গেলও ২৮ বলে অর্ধশতক তুলে অপরাজিত থাকেন বেনি হাওয়েল।