প্রচ্ছদ হেড লাইন প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে ভ্যাকসিন আনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে ভ্যাকসিন আনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, মানিকগঞ্জ :
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের বিষয়ে বাংলাদেশ যাতে অগ্রধিকার পায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কিভাবে ভ্যাকসিন আনা যায়।

আজ (শনিবার) দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া শুভ্র সেন্টারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়াকালে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের বিষয়ে বাংলাদেশ যাতে অগ্রাধিকার পায়, সেই বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। কীভাবে দেশের মানুষ ভ্যাকসিন পাবে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসে পুরো পৃথিবী আক্রান্ত হয়েছিল। ইউরোপের প্রতিটি দেশে জনসংখ্যার হার কম হলেও সেখানে মৃত্যুর হার বেশি। বাংলাদেশে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করেছি। এ পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার মানুষ করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে। সুচিকিৎসা ও যথাযথ স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে মৃত্যুর হার কমিয়ে রাখতে পেরেছি। দেশ থেকে ধীরে ধীরে করোনার প্রকোপ কমে যাচ্ছে, মৃত্যুর হারও কমে যাচ্ছে।’

‘আমরা সাহস পাচ্ছি। আজকে জীবন-জীবিকা অনেকটা স্বাভাবিক হচ্ছে। কারণ, করোনায় মৃত্যুর হার অনেক কমে গেছে। চিকিৎসাব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। সংক্রমণের হারও কমে যাচ্ছে। সুস্থতার হার বেড়ে যাওয়ায় অর্থনৈতিক চাকা সচল হয়েছে। এটি স্বাস্থ্যসেবার অবদান’, বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। স্বাধীনতার আগে বাঙালিদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিকসহ সবক্ষেত্রেই অধিকার ছিল না। পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্তানকে একটি দরিদ্র কলোনি হিসেবে ব্যবহার করেছে। পূর্ব পাকিস্তানে শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করত। নানা বৈষম্যের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু আওয়াজ তুলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে মাত্র তিন বছরে বঙ্গবন্ধু একটি পর্যায়ে নিয়ে এসেছিলেন।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জজকোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো।

আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক লিয়াকত আলী ভান্ডারী, মানিকগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ,মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আফছার সরকারসহ আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।