প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা বাতিল

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা বাতিল

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে কোটা পদ্ধতি আগের মতোই বহাল থাকছে।

বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়ার পর আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপন হলে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত ওই দিন থেকে কার্যকর ধরা হবে।

তিনি আরো বলেন, বেতন কাঠামোর ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো কোটা থাকবে না। তবে আগের (১৪তম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেড) তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বহাল থাকবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোটা পর্যালোচনা কমিটির  রিপোর্ট মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়। কমিটির তিনটি সুপারিশ ছিল- প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ, কোটা বাতিল এবং কোটা বাতিলের ফলে বিদ্যমান জনগোষ্ঠীর বিষয়ে যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।

মন্ত্রিসভা কমিটির তিনটি সুপারিশই অনুমোদন দিয়েছে, জানিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কোনো অনগ্রসর সম্প্রদায়ের জন্য কোটা রাখার প্রয়োজন দেখা দিলে তখন সরকার তা করতে পারবে।

তিনি বলেন, আগের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির (বর্তমান ১৪তম থেকে ২০তম গ্রেড) নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা এখনো বহাল আছে, সেটা থাকবে।

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে যেসব নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে,  সেক্ষেত্রে কী হবে জানতে চাইলে শফিউল আলম বলেন, সেগুলোতে কোনো সমস্যা নেই। যেগুলো অ্যাডভারটাইজ হয়ে গেছে, সেখানে কোটার ব্যাপারে বলে দেওয়া আছে। সরকার কোটার ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নেবে সেভাবেই কার্যকর হবে।

ভবিষ্যতে অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটা প্রয়োজন হলে, তা কারা পর্যালোচনা করবে, জানতে চাইলে সচিব বলেন, এটা (মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে কোটা পর্যালোচনা কমিটি) তো অনেকটা সেট কমিটি, পুনর্বিন্যাস করার প্রয়োজন হলে সরকার করতে পারে।

যারা কোটা পেত, তাদের বিষয়টি অন্য কোনো আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু কিছু জিনিস অলরেডি আইনে আছে। প্রতিবন্ধীদের বিষয়টি আইনে আছে। কিছু বিষয় বিধিমালায় আছে। এগুলো আমাদের কোটার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৩৮ ও ৪০তম বিসিএস নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা নির্দেশনা অনুযায়ী হবে।