প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ পেরেক বসানো রড দিয়ে ভারতীয় সেনাদের মেরেছে চীন

পেরেক বসানো রড দিয়ে ভারতীয় সেনাদের মেরেছে চীন

 

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে সোমবার রাতে যে প্রাণঘাতী সংঘর্ষ হয়েছে, সেখানে হাতে তৈরি যে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, সেটির একটি ছবি প্রকাশ পেয়েছে। খবর বিবিসির।

হিমালয় পর্বতমালায় চীন-ভারতের বিরোধপূর্ণ সীমান্ত অঞ্চলে এই সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২০ জন ভারতীয় সৈন্য এবং দুই পারমানবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। চীন তাদের পক্ষে কোনও হতাহতের খবর স্বীকার করেনি। সংঘর্ষে প্ররোচনা দেবার জন্য দুই পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করেছে।দুই দেশের মধ্যে সীমান্তের এই এলাকা ভালভাবে চিহ্নিত নয়।

এই গলওয়ান উপত্যকার আবহাওয়া অত্যন্ত বৈরী, সেইসঙ্গে এর অবস্থান সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক ওপরে। এলাকাটি যেকোনোরকম ভূ-প্রাকৃতিক পরিবর্তনের ঝুঁকির মুখে থাকে, যা স্পষ্ট সীমানা নির্ধারণ আরও কঠিন করে তোলে।

ওই সংঘর্ষে ব্যবহৃত যে অস্ত্রের ছবি বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়, তাতে দেখা গেছে সেটি লোহার রডের ওপর পেরেক পোঁতা হাতে তৈরি একটি অস্ত্র। ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিবিসির কাছে এই ছবিটি দিয়ে জানিয়েছে, চীন গলওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষে এই অস্ত্র ব্যবহার করেছিল।

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক অজয় শুক্লা প্রথম এই ছবি টুইটারে দেন এবং এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহারকে ‌‍‘বর্বরতা’ বলে বর্ণনা করেন। দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার বন্ধ করার বিষয়ে চুক্তি হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। সংঘাত যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তাই দুই দেশের মধ্যে বিরোধপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি ও বিস্ফোরকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয় ওই চুক্তিতে।

এই ছবি ভারতে টুইটারে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা তাদের ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। তবে চীনা বা ভারতীয় কর্মকর্তারা এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, খাড়া পর্বতের প্রায় ১৪ হাজার ফুট (৪,২৬৭ মিটার) উচ্চতায় দুই দেশের সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে এবং কিছু সৈন্য পা পিছলে খরস্রোতা গলওয়ান নদীতে পড়ে গেছেন, যেখানে শৈল প্রবাহের তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের নিচে।

খবরে বলা হয়েছে, একটিও গুলি বিনিময় না হবার পরও কীভাবে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সৈন্যের প্রাণহানি ঘটল তা নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাপক প্রশ্ন উঠতে শুরু করার পর দেশটির সেনাবাহিনী এই ছবি প্রকাশ করেছে। এর মাধ্যমে তারা ধারণা দিতে চাইছে যে, এই সংঘর্ষে চীনের আচরণ কোনও মতেই ‘সামরিক বাহিনী সুলভ’ ছিল না।